সময় সংবাদ ডেস্কঃ
ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদে চাকরি নিয়ে বেতন-ভাতা ও ঋণ বাবদ সোনালী ব্যাংকের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ব্যাংকটির সাবেক ডিজিএম প্রদীপ কুমার শর্মার বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
গতকাল মঙ্গলবার দুদক উপপরিচালক ও তদন্ত কর্মকর্তা মো. হাফিজুল ইসলাম আদালতে চার্জশিটটি (অভিযোগপত্র) পেশ করেন।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, চার্জশিটে তার বিরুদ্ধে ব্যাংকের এক কোটি ৩১ লাখ ৫৭ হাজার ১৮৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। ব্যাংকের এক কোটি ৫০ লাখ ৬৬ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে প্রদীপ কুমারের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল ২০১৯ সালের ২৭ জুলাই। প্রায় দুই বছর ধরে তদন্ত করা হয়েছে মামলাটি। দীর্ঘ তদন্তে আসামির আত্মসাৎকৃত অর্থের পরিমাণ বাড়েনি; বরং কিছুটা কমেছে। তদন্ত পর্যায়ে সাধারণত মামলায় উল্লেখ করা অপরাধের বাইরে আরও অপরাধ বেরিয়ে আসে। একই সঙ্গে অর্থ আত্মসাতের পরিমাণও বাড়ে।
চার্জশিটে বলা হয়, প্রদীপ কুমার শর্মা জালিয়াতি করে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ ব্যবহার করে ১৯৮৪ সালের ১০ জুলাই সোনালী ব্যাংকে যোগ দিয়েছিলেন।
চাকরির বিজ্ঞপ্তিতে সাধারণ প্রার্থীর সর্বোচ্চ বয়সসীমা ছিল ১৯৮৩ সালের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত ২৭ বছর। ওই তারিখ পর্যন্ত তার বয়স ছিল ২৯ বছর চার মাস ২৯ দিন। তার জন্ম তারিখ ১৯৫৪ সালের ১ জুলাই। আসামি প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা না হয়েও নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা ঘোষণা দিয়ে চাকরিতে যোগ দেন। যোগদানের তারিখ থেকে অবসরের ২০১৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ব্যাংক থেকে বেতন বাবদ ৬৯ লাখ ৩১ হাজার ৭৯৪ টাকা, উৎসব বোনাস বাবদ আট লাখ আট হাজার ২৪৭ টাকা, উৎসাহ বোনাস বাবদ ছয় লাখ ৩৩ হাজার ৫২৫ টাকা, এপগ্রেসিয়া বাবদ এক লাখ ৭০ হাজার ৭৫১ টাকা, কর্মচারী গৃহ নির্মাণ বাবদ ৪৫ লাখ ৬০ হাজার ৬৬৬ টাকা ও কম্পিউটার ঋণ বাবদ (সুদ ব্যতীত) ৫২ হাজার ২০০ টাকাসহ সর্বমোট এক কোটি ৩১ লাখ ৫৭ হাজার ১৮৩ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন।
মামলার আগে অনুসন্ধান ও মামলার পরে তদন্তে প্রদীপ কুমার শর্মা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা সম্পর্কিত কোনো দালিলিক প্রমাণ দেখাতে পারেননি।