শেখ হাসিনার বহরে হামলা: সাত আসামির জামিন স্থগিতই থাকছে - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

সোমবার, জুন ২১, ২০২১

শেখ হাসিনার বহরে হামলা: সাত আসামির জামিন স্থগিতই থাকছে


 

সময় সংবাদ ডেস্কঃ


২০০২ সালে সাতক্ষীরায় তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত সাতজনকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন স্থগিত থাকবে বলে আদেশ দিয়েছে আপিল বিভাগ।

সোমবার প্রধান বিচারপতিসহ ৬ বিচারকের আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। হাইকোর্টের দেয়া আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিলের আবেদন নিষ্পত্তি করে এ আদেশ দেয়া হয়।


আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এম আমিন উদ্দিন। আসামিপক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।


গত ২৬ মে ওই ৭ আসামিকে জামিন দেয় হাইকোর্ট। এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানি নিয়ে পরের দিন চেম্বার জজ আদালতের বিচারক জামিন স্থগিত করেন। সেই সঙ্গে আবেদনটি আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেয়া হয়।


সে অনুসারে আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য আসলে ৩০ মে রাষ্ট্রপক্ষকে ৩ সপ্তাহের মধ্যে আপিলের আবেদন (লিভ টু আপিল) করতে বলা হয়।


হাইকোর্টে জামিনপ্রাপ্তরা হলেন- আবদুস সাত্তার, গোলাস রসুল, আব্দুস সামাদ, জহিরুল ইসলাম, রাকিব, শাহাবুদ্দিন ও মনিরুল ইসলাম।


২০০২ সালে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার এক মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীকে ধর্ষণ করা হয়। ওই বছরের ৩০ আগস্ট শেখ হাসিনা সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ওই মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীকে দেখে মাগুরায় যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে কলারোয়া উপজেলা বিএনপি অফিসের সামনে তার গাড়িবহর পৌঁছালে একদল সন্ত্রাসী লাঠিসোটা, ধারালো অস্ত্র, বোমা ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। তারা গুলিবর্ষণ করে এবং বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। এ সময় শেখ হাসিনা প্রাণে রক্ষা পেলেও তার গাড়িবহরে থাকা সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার শেখ মুজিবর রহমান, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেত্রী ফাতেমা জাহান সাথী, জোবায়দুল হক রাসেল, শেখ হাসিনার ক্যামেরাম্যান শহীদুল হক জীবনসহ অনেকেই আহত হন। আহত হন বেশ কয়েকজন সাংবাদিকও।


কলারোয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোসলেম উদ্দিন ওইদিনই বাদী হয়ে মামলা করেন। এরপর ২০১৫ সালে এ ঘটনায় আদালতে চার্জশিট দেয়া হয়। এর মধ্যে হত্যাচেষ্টা মামলায় এক আসামি রাকিবের বয়স ঘটনার সময় ১০ বছর ছিল উল্লেখ করে হাইকোর্টে মামলা বাতিলে আবেদন করা হয়। ২০১৭ সালে ওই আবেদনে একই সালের ২৩ আগস্ট হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ দিয়ে রুল জারি করেন।


গত বছরের ৮ অক্টোবর ওই রুল খারিজ করে রায় দেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে রাকিব। এ আবেদনে আপিল বিভাগ তিন মাসের মধ্যে নিম্ন আদালতে বিচার সম্পন্ন করার নির্দেশ দেন। এরপর বিচার শেষে সাতক্ষীরার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত গত ৪ ফেব্রুয়ারি এ মামলায় বিএনপির সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ তিনজনের সর্বোচ্চ ১০ বছর করে এবং বাকি ৪৭ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়ে রায় বিচারিক আদালত। পরে হাইকোর্টে এসে জামিন আবেদন করেন আসামিরা।

Post Top Ad

Responsive Ads Here