সময় সংবাদ ডেস্কঃ
মহামারি করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে আরো ৮ হাজার ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যু বেড়েছে প্রায় ২ হাজার। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা ৪০ লাখ ৬৫ হাজার ২৬৯ জনে পৌঁছেছে।
একই সময়ে প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৫ লাখ ৩ হাজার ২৩৭ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা প্রায় ১ লাখ ২৬ হাজার বেড়েছে। এতে মহামারির শুরু থেকে ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে ১৮ কোটি ৮৫ লাখ ৭৪ হাজার ৫৯ জনে দাঁড়িয়েছে।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে বুধবার সকাল ৮টার দিকে এসব তথ্য জানা গেছে।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ইন্দোনেশিয়ায়। এ সময়ের মধ্যে দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৮৬৪ জন এবং নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৭ হাজার ৮৯৯ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২৬ লাখ ১৫ হাজার ৫২৯ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬৮ হাজার ২১৯ জনের।
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ৪৮ লাখ ৬ হাজার ৪৫৪ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৬ লাখ ২৩ হাজার ৪২০ জন মারা গেছেন।
আর লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ৬১৩ জন এবং নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৫ হাজার ৯৪ জন।
আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় এবং মৃতের সংখ্যার তালিকায় ভারতের অবস্থান তৃতীয়। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬২৩ জন এবং নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪০ হাজার ২১৫ জন। দেশটিতে মোট আক্রান্ত ৩ কোটি ৯ লাখ ৪৪ হাজার ৯৪৯ জন এবং মারা গেছেন ৪ লাখ ১১ হাজার ৪৩৯ জন।
এছাড়া করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ফ্রান্সে এক লাখ ১১ হাজার ৪০৭ জন, রাশিয়ায় এক লাখ ৪৪ হাজার ৪৯২ জন, যুক্তরাজ্যে এক লাখ ২৮ হাজার ৪৮১ জন, ইতালিতে এক লাখ ২৭ হাজার ৮০৮ জন, তুরস্কে ৫০ হাজার ৩২৪ জন, স্পেনে ৮১ হাজার ৩৩ জন, জার্মানিতে ৯১ হাজার ৭৯৯ জন এবং মেক্সিকোতে ২ লাখ ৩৫ হাজার ৫৮ জন মারা গেছেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।