ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়‌কে বাস চলছে - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

বৃহস্পতিবার, জুলাই ০১, ২০২১

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়‌কে বাস চলছে


 

সময় সংবাদ ডেস্কঃ


কঠোর লকডাউনেও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়‌কে বাস ও ব্যক্তিগত গা‌ড়ি চলাচল কর‌ছে। এছাড়া ট্রাকে নিম্নআ‌য়ের মানুষজন যাতায়াত কর‌ছে। বৃহস্প‌তিবার সকালে মহাসড়‌কের টাঙ্গাই‌লের রাবনা বাইপাস, এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড ও এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত সড়‌কে বাস ও ব্যক্তিগত যানবাহন চলাচল কর‌তে দেখা গে‌ছে।

সরকার ঘো‌ষিত কঠোর লকডাউনে জরুরি সেবা ছাড়া সব ধরনের যান চলাচল বন্ধের নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে স্বাভাবিক দিনের মতোই চলাচল করছে ব্যক্তিগত যানবাহন, বাস, ট্রাক ও পিকআপ। ত‌বে রা‌তের দি‌কে মহাসড়‌কে বাসের সংখ্যা বে‌শি ছিল। আর যেসব বাস বি‌ভিন্ন গন্ত‌ব্যে যে‌তে ভো‌রে ঢাকা থে‌কে রওনা হ‌য়ে‌ছে সেগু‌লোও মহাসড়‌কে চলাচল কর‌তে দেখা গে‌ছে।


মহাসড়‌কে চলাচল করা চালকরা জানান, রা‌তে প্রশাস‌নের তেমন নজরদারি থা‌কে না। অনেক সময় মানবতার খাতিরে গা‌ড়ি ছে‌ড়ে দেয়। যে কার‌ণে রা‌তে প‌রিবহন চালা‌নো সু‌বিধা। ত‌বে দি‌নের বেলায় প্রশাস‌নের নজরদা‌রি বে‌শি থা‌কে। ফ‌লে জেল-জ‌রিমানার ভয় থা‌কে। 


তারা আরো জানান, জী‌বিকার তা‌গি‌দে এভা‌বেই লু‌কোচু‌রি ক‌রে প‌রিবহন চলা‌তে হ‌বে। না হলে প‌রিবার নি‌য়ে না খে‌য়ে থাক‌তে হ‌বে।


তবে মহাসড়‌কে বাস চলাচল কর‌ছে না দাবি করে হাইওয়ে পুলিশের এলেঙ্গা ফাঁড়ির ইনচার্জ ইয়াসির আরাফাত জানান, মহাসড়কে টহল জোরদার করা হয়েছে। চেকপোস্টগুলো থেকে নিয়মিতই এসব যানবাহনের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হচ্ছে আর কিছু গাসাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে চারজনের করোনা রোগী ছিলেন এবং বাকিরা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। এছাড়াও গত ২৪ ঘন্টায় ১৯০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৬৭ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে।

এদিকে বুধবার বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অক্সিজেন সংকট দেখা দেয়। এই সময়ের মধ্যে হাসপাতালে ৯ জনের মৃত্যু হয়।


বুধবার বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত হাসপাতালে মারা যাওয়া রোগীরা হলেন- কলারোয়া উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের সুফুরা বেগম, সাতক্ষীরা শহরের ইটাগাছা এলাকার খায়রুননেছা, কুকরালী এলাকার নাজমা বেগম, পলাশপোল এলাকার আনছার আলী, কালিগঞ্জ উপজেলার ভাড়াসিমলা গ্রামের আকরাম হোসেন, শ্যামনগর উপজেলার রমজাননগর গ্রামের আশরাফ হোসেন, দেবহাটা উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামের তুহিন, আশাশুনি উপজেলার রবিউল ইসলাম ও পাটকেলঘাটা থানার বড়বিলা গ্রামের ফাতেমা বেগম।


এছাড়া বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে আরও মারা গেছেন আশাশুনি উপজেলার নৈকাটি গ্রামের আব্দুল হামিদ, যশোরের শার্শা উপজেলার বাঘারপাড়া এলাকার ইদ্রিস আলী, তালা উপজেলার সেনেরগাতি গ্রামের রহিমা বেগম, পলাশপোল এলাকার শেখ কাদিরুল ও সদর উপজেলার ভাড়ুখালি এলাকার কওসার আলী।


এদিকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা পজিটিভ হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২৬ জন। এছাড়াও উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২৪৯ জন।


সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটের প্রধান ডা. মানস কুমার মন্ডল বলেন, বুধবার বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত অক্সিজেনের সংকট দেখা দিয়েছিল। তবে রাত ৮টার পর থেকে অক্সিজেন সরবরাহ স্বাভাবিক হয়। যশোর থেকে অক্সিজেনের কোম্পানির গাড়ি আসতে দেরি করে। এই সময়ের মধ্যে আইসিইউতে তিনজন রোগী মারা যান। 


তিনি বলেন, ওয়ার্ডের মধ্যে অক্সিজেনের ব্যবহার কম থাকে। যেখানে সিলিন্ডারের অক্সিজেনও দেওয়া হয়। সেকারণে ওয়ার্ডে মারা যাওয়া রোগীরা অক্সিজেনের অভাবে মারা গেছে এটি বলা যাবে না। যারা আইসিইউ ও ওয়ার্ডে মারা গেছেন তাদের সবার অবস্থা আগে থেকেই খারাপ ছিল। ড়িকে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। 

Post Top Ad

Responsive Ads Here