৩৫ বছর আগে মৃত নারীর আঙুলের ছাপে জমি রেজিস্ট্রেশন - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

রবিবার, জুলাই ১১, ২০২১

৩৫ বছর আগে মৃত নারীর আঙুলের ছাপে জমি রেজিস্ট্রেশন


 

সময় সংবাদ ডেস্কঃ

কুড়িগ্রামের রাজীবপুর উপজেলায় ৩৫ বছর আগে মৃত এক নারীকে জীবিত দেখিয়ে তার আঙুলের ছাপে জমি রেজিস্ট্রেশনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় কুড়িগ্রাম আদালতে মামলা হয়েছে।আদালতে এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে সিআইডি।

বাদী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রাজীবপুর উপজেলার বদরপুরের নজির হোসেনের স্ত্রী দৌলতুন্নেছা ৩৫ বছর আগে মারা যান। তিনি জীবিত থাকা অবস্থায় ওই গ্রামে নিজের কিছু জমি প্রতিবেশী মজিবর রহমানের কাছে বিক্রি করেছিলেন। দৌলতুন্নেছা মারা যাওয়ার কয়েক বছর পর ওই এলাকা নদীভাঙনের শিকার হলে তারর পরিবার একই উপজেলার বটতলা কারিগরপাড়ায় বসতি গড়ে। একইভাবে মজিবর রহমানের

পরিবারও টাংগালিয়াপাড়ায় বসতি স্থাপন করে।


২০২০ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি মজিবর রহমানের ছেলে ইসমাইল হোসেন তার মা জহুরা খাতুনকে দৌলতুন্নেছা সাজিয়ে দলিল লেখক নূরুন্নবীর মাধ্যমে চর রাজীবপুর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়ে বদরপুরের ৫০ শতাংশ জমি নিজ নামে রেজিস্ট্রেশন করেন। একই মাসের ৭ তারিখ জমির দখল নিতে গেলে বটতলার দৌলতুন্নেছার নাতি আব্দুল করিম দলিল দেখতে চান। ওই সময় ইসমাইল হোসেন ভুয়া দলিল দেখান এবং জমি দখল করেন।


ওই ঘটনার পর দলিলটি ভুয়া সন্দেহে আব্দুল করিম চর রাজীবপুর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়ে যাচাই করেন এবং সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আটজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। আদালত তদন্তের ভার দেয় সিআইডিকে। দীর্ঘ তদন্তের পর চলতি বছরের ৬ জুলাই আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন কুড়ীগ্রাম সিআইডির পরিদর্শক এমএ ফারুক।

দৌলতুন্নেছার নাতি ও মামলার বাদী আব্দুল করিম বলেন, মজিবর রহমানের ছেলে ইসমাইল হোসেন তার মা জহুরা খাতুনকে আমার দাদি সাজিয়ে ভুয়া দলিল বানিয়ে জমি দখল করেছে। তাকে সহযোগিতা করেছে দলিল লেখক নূরুন্নবী। আমি ওই তিনজনসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছি।


কুড়িগ্রাম সিআইডির পরিদর্শক এমএ ফারুক বলেন, আমাদের ফরেনসিক ল্যাবে দৌলতুন্নেছার জীবিত থাকাকালীন সম্পাদনকৃত দলিলের আঙুলের ছাপ এবং অভিযুক্তদের দখলকৃত জমির দলিলের আঙুলের ছাপ যাচাই করে মিল পাওয়া যায়নি। তবে ভুয়া দলিলের ছাপের সঙ্গে অভিযুক্ত জহুরা খাতুনের আঙুলের ছাপের মিল রয়েছে। আমি তদন্ত প্রতিবেদন গত ৬ জুলাই আদালতে দাখিল করেছি। আদালত পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

Post Top Ad

Responsive Ads Here