কৌশলগত গরু চুরি করে অন্যকে ফাঁসানোর চেষ্টা - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

শিরোনাম

শুক্রবার, জুলাই ০৯, ২০২১

কৌশলগত গরু চুরি করে অন্যকে ফাঁসানোর চেষ্টা


 


দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে অভিনব কাঁয়দায় কৌশলগত গরু চুরি করে অন্যকে ফাঁসানোর চেষ্টা করতে গিয়ে নিজেরাই ফেঁসে গেলেন। এমন জঘন্যতম ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আলোচনা, সমালোচনার ঝড় উঠেছে সর্বত্র।  

ঘটনাটি ঘটেছে ৮জুলাই দিবাগত রাতে উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাজিতপুর গ্রামে ঘটনার পর থেকে, পাড়া মহল্লায় ষড়যন্ত্রের সাথে লিপ্ত দুই ব্যাক্তির দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি করেছেন স্থানীয়রা।  


ঘটনা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বাজিতপুর গ্রামের মৃত আলকাছ আলীর পুত্র সাহাঙ্গীর আলম (৩৫) এর সাথে গ্রাম্য রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক বিভিন্ন মামলা মোকদ্দমা চলমান রয়েছে একই গ্রামের হানিফ উল্লাহ’র পুত্র শফিকুল ইসলাম ও ধলা মিয়ার পুত্র এখলাছ মিয়ার মধ্যে।  


স্থানীয় সূত্রে জনা যায় একই গ্রামের গোলফর আলীর একটি গরু এখলাছ মিয়ার কাছে বর্গা (বাগী) ছিল, সেই গরু রাতের আঁধারে এখলাছ মিয়া নিজেই বিক্রি করে তাদের প্রতিপক্ষ একই গ্রামের মৃত আলকাছ আলীর পুত্র সাহাঙ্গীর আলমকে ফাঁসাতে মিথ্যা ও বানোয়াট চুরির অপপ্রচার করে এখলাছ মিয়া ও সফিকুল ইসলাম।       

লোকমুখে গরু চুরির কথা সাহাঙীর জানার পর সে বিষয়টি দ্রুত তথ্য নিয়ে ( ৯জুলাই) শুক্রবার সকালে উপজেলার দোহালিয়া ইউনিয়নের একটি এলাকা থেকে গরুটি মানুষের সহযোগিতায় আটক করে সাহাঙ্গীর আলম। বর্তমানে গরুটি সদর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য এশাদ মিয়ার নিকট জামানত রয়েছে।


এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাজিতপুর গ্রামের আব্দুস ছোবান, নুরুল হক, সফিক মিয়া,ফরিদ মিয়া, হাজী সমছু মিয়া, ফিরোজ আলী, আলমগীর, ছবর আলী, আব্দুল গফুর, জুয়েল মিয়া, হেলাল মিয়া, শাহ জাহান, ছোটন মিয়া, সফর আলী ছোবান আলী বলেন, সাহাঙ্গীর একজন নিরিহ মানুষ। ইতিপূর্বে সাহাঙ্গীরকে ইয়াবা টেবলেট দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছিল সফিকুল ইসলাম। সেই মামলায় ও সে আটক হয়েছিল। সেখানে ব্যর্থ হয়ে গরু চুরির মত জঘন্য অপরাধ তার বিরুদ্ধে প্রচার করে। তাই 

প্রশাসনের নিকট আমাদের জোর দাবী বিষয়টি তদন্তপূবর্ক সফিকুল ও এখলাছ এর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হউক। 


এখলাছ মিয়া ও সফিকুল ইসলামকে বারবার মোবাইল ফোনে চষ্টা করেও না পাওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।       


দোয়ারাবাজার সদর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য এশাদ মিয়া বলেন, আমার কাছে একটি গরু জামানত রয়েছে। উভয় পক্ষই আমাকে বিষয় টি অবগত করেছিল। 


দোয়ারাবাজার থানার এস আই অরূপ বলেন,ওসি সাহেবের নির্দেশে আমি ঘটনাস্থলে উপিস্থত হয়েছি, বিষয়টি তদন্তপূবর্ক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।