ফরিদপুর প্রতিনিধি :
সারাদেশে লকডাউন ১ জুলাই থেকে শুরু হলেও ফরিদপুরে লকডাউন চলছে ২১ জুন থেকে। এতো দীর্ঘ সময় লকডাউন চললেও কোন ভাবেই থামছে না করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যু সংখ্যা। প্রতিদিন পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে পরিস্থিতির। এমন পরিস্থিতিতে আক্রান্তদের বাড়িতে আইসলোশেন নিশ্চিত এবং এলাকাবাসীকে সতর্ক করতে করোনা আক্রান্তদের বাড়িতে বাড়িতে লাল পতাকা টানিয়ে দিচ্ছে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে।
জেলার করোনা পরিস্থিতির সামাল দিতে মাঠে শুরু থেকেই কঠোরভাবে অবস্থান নিয়েছে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, সেনাবাহিনী, র্যাব, বিজিবি, আনছার সদস্যরা। জেলা শহরের ১২টি পয়েন্টে চেক পোষ্ট বসানো হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে। প্রশাসন আইন শৃংখলা বাহিনীকে সাথে নিয়ে শহর সহ বিভিন্ন হাট-বাজারে অভিযান চালাচ্ছেন। তারপরেও উন্নতি হচ্ছে না পরিস্থিতির। গত ১৮দিনে সরকারী হিসেবে ৫২ জনের মৃত্যুর কথা বলা হলেও উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু হয়েছে আরো প্রায় ৬০ জনের বেশি। গত ২৪ ঘন্টায় ৩৭৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৭৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে।
এদিকে ফরিদপুর জেলার কোতোয়ালি থানা সহ প্রতিটি থানা ও পৌরসভা এলাকার করোনা পজিটিভ ব্যক্তির বাসা/এলাকায় পুলিশ কতৃক লাল পতাকা টানিয়ে সতর্ক করা হচ্ছে। আক্রান্তদের বাড়িতে গিয়ে জেলা পুলিশের সদস্যরা লাল পতাকা টানিয়ে সতর্ক করা হচ্ছে পরিবার ও এলাকাবাসীকে।
এ বিষয়ে ফরিদপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার জানান, করোনা আক্রান্তদের বাড়ি বাড়ি আইসলোশেন নিশ্চিত করে করোনা প্রতিরোধে বাড়িতে লাল পতাকা টানিয়ে দিচ্ছে জেলা পুলিশ এর সদস্যরা। তিনি বলেন, পুলিশ সুপারের নির্দেশে আমরা সকাল থেকে রাত অবধি কাজ করে চলছি এটা নিশ্চিত করতে। গত ১লা জুলাই থেকে আক্রান্তদের ফোন দিয়ে খোজঁ নেয়া হচ্ছে আর বুধবার থেকে করোনা আক্রান্তদের বাড়িতে বাড়িতে লাল পতাকা টানানো হচ্ছে। এতে আক্রান্তদের মনোবল বৃদ্ধি একই সাথে তারা যাতে বাড়িতে অবস্থান করে এটাও একটা কারন। তিনি আরো বলেন, এলাকায় অনেক আক্রান্তরা করোনা বিধি নিষেধ মানছে না এবং এলাকার লোকজন না জেনে তাদের সাথে মিলে মিছে চলছে এটা যাতে না হয় তার জন্য কাজ করে চলছি দিনরাত। আমাদের জেলা পুলিশের লক্ষ্য একটাই করোনার অতি বিস্তার প্রতিরোধে দ্রæত ভূমিকা পালন। আশাকরি এই উদ্যোগের ফলে করোনার অতি বিস্তার কমে আসবে।
এদিকে পুলিশের এমন উদ্যোগকে এরই মধ্যে সাধুবাদ জানিয়েছে জেলার বিশিষ্টজনেরা। তারা এটা চালিয়ে যাওয়ার জন্য পুলিশকে আরো উদ্যোগী হওয়ার আহবান জানিয়েছেন।