আদালতের নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করে রাতের আঁধারে রাখাইনদের সম্পত্তি দখল - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

শিরোনাম

সোমবার, জুলাই ১২, ২০২১

আদালতের নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করে রাতের আঁধারে রাখাইনদের সম্পত্তি দখল



রাসেল কবির মুরাদ , কলাপাড়া  প্রতিনিধি:

  কুয়াকাটায় রাতের আধাঁরে আদালতের নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করে উপজাতি রাখাইন সম্প্রদায়ের দেবালয় সম্পত্তি, একটি হাউজিং কোম্পানীর জমিসহ ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। দখল করে নেয়া হচ্ছে পৌরসভার পানি নিষ্কাশন ড্রেন। প্রায় পাঁচ কোটি টাকা মূল্যের এ সম্পত্তি, উপেক্ষা করা হচ্ছে আদালতের নিষেধাজ্ঞা। মূল্যবান ও গুরুত¦পূর্ন এ সম্পত্তি দখল করছে স্থানীয় প্রভাবশালী চিহ্নিত একটি ভূমিদস্যু চক্র। 


স্থানীয় সূত্র ও ভূক্তোভোগীরা এ প্রতিবেদককে জানান, কলাপাড়া-কুয়াকাটা মহাসড়ক লাগোয়া কুয়াকাটা জিরো পয়েন্টে লতাচাপলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন ওই জমিতে বিদ্যমান ডোবাটির বিএস জরিপে মালিক  হাজী আ: মন্নান হাওলাদার, ইলিয়াস হোসেন, সোহেল হোসেন, তেমং রাখাইন ও শহিদ দালাল। আদালতে ৪/৫টি চলমান মামলা নিয়ে বিরোধপূর্ন ওই জমিতে রয়েছে উপজাতি রাখাইন সম্প্রদায়ের পুরাতন বৌদ্ধ বিহার। সীমানা নির্ধারণ জটিলতায় সংস্কার কাজ না হওয়ায় যা দীর্ঘ বছর ধরে পরিত্যক্ত রয়েছে। এরপাশেই রয়েছে ওয়েস্টার্ন রিয়েল এস্টেট কোম্পানীর ৩০ শতাংশ এবং জয়নাল আবেদীন খানের সাড়ে ১২ শতাংশ জমি। মহিপুরের জাহাঙ্গীর মৃধা, বালিয়াতলীর সোহেল তালুকদার, আলীপুরের সাদা জাহাঙ্গীর, আলী হোসেন, আলমগীর হোসেন এবং কুয়াকাটার কালা রহিম জাল কাগজ তৈরি করে গায়ের জোরে এ জমি দখল করেছেন। যারা নিজেদের পূর্বাচল মেরিন সিটি কোম্পানীর বেতনভোগী কর্মচারী বলে দাবি করছেন। বালু দিয়ে ডোবা ভরাট করে র্নিমান করা হয়েছে দুটি একতলা সেমিপাকা স্থাপনা।

 

ক্ষতিগ্রস্থ জমির মালিক শহীদুল ইসলাম এ প্রতিনিধিকে বলেন, চলতি বছরেরে ১১মার্চ থেকে শুরু হওয়া এ দখল প্রক্রিয়া এখনও চলমান রয়েছে। সর্বশেষ শনিবার (১০জুলাই) রাতে প্রায় অর্ধশত শ্রমিক লাগিয়ে তাদের জমি বালু দিয়ে ভরাট করে দখল করেছে স্থানীয় ওই চক্রটি। এসময় বাঁধা দিতে গেলে তারা মামলা-হামলার হুমকি দেয়। 


ওয়েস্টার্ন রিয়েল এস্টেট কোম্পানীর ব্যবস্থাপক মিজানুর রহমান গনমাধ্যমকে বলেন, দলিলপত্রসহ প্রমাণাদি দেখানোর পরেও আমাদের কোম্পানীর জমি দখল করে নেয়া হয়েছে। বৌদ্ধ বিহার কমিটির সভাপতি এমং তালুকদার বলেন, বৌদ্ধ বিহারের জায়গা বাদ দিয়ে কাজ করতে অনুরোধের পরেও দখলদাররা জোড়পূর্বক বেড়া দিয়ে বালু ভরাটের কাজ  করছে।  


কুয়াকাটা পৌর মেয়র আনোয়ার হাওলাদার সাংবাদিকদের বলেন, ওই সম্পত্তি নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হলে দুই দফা কাজ বন্ধ করে দিয়েছি।