ফরিদপুরে বিভিন্ন উদ্যোগেও কোন উন্নতি নেই করোনা পরিস্থিতির, বাড়াচ্ছে শংকা - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

শিরোনাম

শনিবার, জুলাই ১০, ২০২১

ফরিদপুরে বিভিন্ন উদ্যোগেও কোন উন্নতি নেই করোনা পরিস্থিতির, বাড়াচ্ছে শংকা

 


ফরিদপুর প্রতিনিধি :
ফরিদপুরে প্রতিদিন বাড়ছে করোনা রোগির চাপ এমন পরিস্থিতিতে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালটি করোনা রোগিদের জন্য ৫১৬ শয্যার করা হয়েছে। সর্বশেষ হাসপাতালটিতে শয্যা সংখ্যা বাড়িয়ে করা হয়েছিলো ৩৬৬টি।  

 
এদিকে গত ২৪ ঘন্টায় করোনা ও উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ১০জনের করোনা পজেটিভ ও ৯জনের করোনা উপসর্গ ছিল। মৃতদের মধ্যে ফরিদপুরের ১০জন, গোপালগঞ্জের ৫জন, রাজবাড়ীর ৩জন ও মাগুরার ১জন রয়েছে। বর্তমানে হাসপাতালটিতে ৩৭৫জন ভর্তি রয়েছে। এর ভিতর গত ২৪ ঘন্টায় ভর্তি হয়েছে ৭৫ জন রোগি। প্রতিনিয়ত রোগির চাপ বাড়াতে হাসপাতালে সেবা দিতে হিমসিম খাচ্ছে ডাক্তার ও নার্সরা।  

 
গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় ৩৫৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৬৮ জনের দেহে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৪৭.০১ শতাংশ। ফরিদপুরে এ পর্যন্ত ১৪ হাজার ৪৫৬ জন রোগির করোনা শনাক্ত হয়। সরকারী হিসেবে এ পর্যন্ত ২৬৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া উপসর্গ নিয়ে দুই সপ্তাহে আরো ৬০ জনের উপর মৃত্যু হয়েছে। 


ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ডা: ছিদ্দীকুর রহমান জানান, গত ২৪ ঘন্টায় ফরিদপুর পিসিআর ল্যাবে ৩৫৬ জনের নমুনা পরীক্ষার করে শনাক্ত হয়েছে ১৬৮ জন। তিনি বলেন করোনা বিধি নিষেধ না মানার কারনে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। 


এদিকে জেলা জুড়ে ১৪৪টি স্থানে পুলিশ চেকপোষ্ট বসিয়ে মানুষের যাতায়াত নিয়ন্ত্রন করছে পুলিশ। তবে শহর ও বাজারের রাস্তা গুলোতে দেখা গেছে মানুষ নানা অজুহাতে বেরিয়ে আসছে রাস্তায়। পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে অটো, রিক্সা, ব্যক্তিগত গাড়ী ও মটরসাইকেলে তারা বিভিন্ন গন্তব্য যাতায়াত করার চিত্র উঠে এসেছে সরোজমিনে। 


জেলা পুলিশ সূত্রে জানাযায়, ১লা জুলাই থেকে কঠোর লকডাউন এর পর থেকে ৯জুলাই পর্যন্ত সংক্রমণ প্রতিরোধে নেয়া কার্যক্রম পুলিশের পক্ষ থেকে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে ১৯৮টি। এ সময় জরিমানা আদায় করা হয় ২৯০জনের কাছ থেকে ২লাখ ৪হাজার ৬শত ৯০টাকা। জেলার ১৪৪ টি স্থানে বসানো হয়েছে চেকপোষ্ট। এসব স্থান থেকে গাড়ী আটক করা হয় ২১৭টি। আর এই সব কাজ করতে জেলায় পুলিশের ৫হাজার ১শত ৪৮জন সদস্য কাজ করছে। এছাড়া র‌্যাব এর টহলের সংখ্যা ১৮টি, সেনাবাহিনীর ২৭টি ও বিজিবি এর ১৮টির টহল দল কাজ করেছে। 


এতো সব উদ্যোগ নেওয়ার পরও মানুষ বেড়িয়ে আসছে নানা অজুহাতে রাস্তায়। এর ভিতর অনেকে লকডাউন দেখার জন্য বের হওয়ার সংখ্যা নেহাত কম নয়। 


এমন সব উদ্যোগে সেনাবাহিনী ও বিজিবিকে আরো কঠোর অবস্থানে যাওয়ার জোর দাবি জানিয়েছেন জেলার বিশিষ্টজনেরা।