সময় সংবাদ ডেস্কঃ
করোনা রোগের টিকা নিবন্ধন প্রক্রিয়া গণহারে ।
আপাতত বন্ধ থাকলেও বিশেষ কয়েকটি ক্যাটাগরিতে আবারো উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। আগামী দুই থেকে তিনদিনের মধ্যেই চালু হতে পারে ৪০-ঊর্ধ্ব নাগরিকসহ আরো কয়েকটি বিশেষ শ্রেণিতে নিবন্ধন কার্যক্রম।
বর্তমানে নিবন্ধনের সুযোগ থাকা বিশেষ ক্যাটাগরির মধ্যে রয়েছেন সম্মুখ সারির আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট বিষয়ের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলের শিক্ষার্থীরা। এসব শ্রেণির আওতাভুক্তরা ‘সুরক্ষা’ ওয়েব পোর্টালে (www.surokkha.gov.bd) গিয়ে টিকা পেতে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে নিজের নাম নিবন্ধন করতে পারবেন।
‘সুরক্ষা’ ওয়েব পোর্টালে বর্তমানে সম্মুখ সারির আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী ক্যাটাগরিতে ডিজিএফআই, পুলিশ, ট্রাফিক পুলিশ, র্যাব, এনএসআই, আনসার, ভিডিপি, বিজিবি, কোস্টগার্ড শ্রেণিতে নিবন্ধনের সুযোগ রাখা হয়েছে।
আর চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে শিক্ষার্থী হিসেবে নিবন্ধন করতে পারবেন সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজ, সরকারি নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কলেজ-ইনস্টিটিউট, সরকারি আইএইচটি (ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি) ও সরকারি ম্যাটস (মেডিকেল এ্যাসিসটেন্ট ট্রেনিং স্কুল) শিক্ষার্থীরা।
এছাড়া দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্যও উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে টিকা নিবন্ধনের সুযোগ।
এদিকে, শুক্রবার রাত ও শনিবার সকালে আলাদা আলাদা চালানে মডার্না ও সিনোফার্মের ৪৫ লাখ টিকা দেশে আসার পরিপ্রেক্ষিতে আবারো গণহারে চালু হতে যাচ্ছে টিকা নিবন্ধন কার্যক্রম।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন জানান, আগামী ২/৩ দিনের মধ্যেই চালু হতে পারে ৪০-ঊর্ধ্ব নাগরিক, ফ্রন্টলাইনারসহ অন্যান্য বিশেষ ক্যাটাগরিতে টিকা নিবন্ধনের সুযোগ।
টিকার মজুদ কমে আসার পর গত ৫ মে কোভিড-১৯ টিকা নিবন্ধন বন্ধ করে দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদফতর। এর আগে গত ২৬ এপ্রিল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল প্রথম ডোজের টিকাদান।
তবে মে ও জুন মাসে চীন থেকে সিনোফার্মের ১১ লাখ এবং গত ৩১ মে কোভ্যাক্সের সহযোগিতায় ফাইজারের এক লাখ ডোজ টিকা আসায় ১৯ জুন থেকে আবারো শুরু হয় প্রথম ডোজের টিকাদান কর্মসূচি।
শুক্রবার রাতে মডার্নার ১২ লাখ ও সিনোফার্মের ১১ লাখ টিকা দেশে আসার কথা রয়েছে। আর শনিবার সকালে আসবে মডার্নার আরো ১৩ লাখ ও সিনোফার্মের আরো ৯ লাখ।
মডার্না ও সিনোফার্মের এই ৪৫ লাখ টিকার ওপর নির্ভর করে আবারো গণটিকাদান কার্যক্রমে গতি আসবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।