সময় সংবাদ ডেস্কঃ
বগুড়ায় অক্সিজেনের অভাবে সাত করোনা রোগীর মৃত্যু, আশঙ্কাজনক আরো ১০বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা সংকটে পর্যাপ্ত অক্সিজেন না পেয়ে সাতজন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার দুপুর ১২টা পর্যস্ত ১৬ ঘণ্টায় চাহিদা অনুযায়ী উচ্চমাত্রার অক্সিজেন না পাওয়ায় তাদের মৃত্যু হয়। এছাড়া আশঙ্কাজনক অবস্থায় আছেন আরো ১০ জন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে শুক্রবার সকাল ৭টা পর্যন্ত ২২৩ জন রোগী ভর্তি ছিলেন। যাদের অধিকাংশেরই উচ্চমাত্রার অক্সিজেন সরবরাহ প্রয়োজন ছিল। কিন্তু হাসপাতালটিতে বর্তমানে মাত্র দুটি হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা থাকায় দুইজনের অতিরিক্ত কোনো রোগীকে উচ্চমাত্রার অক্সিজেন দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। যে কারণে যাদের অক্সিজেন স্যাচুরেশন (রক্তে ঘনীভূত অক্সিজেনের মাত্রা) ৮৭’র নিচে তাদের জীবন সংকটাপন্ন হয়ে পড়েছে।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বগুড়ার তিন হাসপাতালে করোনা ওয়ার্ডে শ্বাসকষ্ট থাকা রোগীদের অক্সিজেন সরবরাহের জন্য হাই ফ্লো নাজাল ক্যানুলা আছে ২৩টি। এর মধ্যে মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে দুটি, শজিমেক হাসপাতালে ১১টি এবং বেসরকারি টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০টি।
মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আরএমও ডা. শফিক আমিন কাজল জানান, তাদের হাসপাতালে রোগীর চাপ অনুযায়ী অন্তত ২০টি হাই ফ্লো নাজাল ক্যানুলা প্রয়োজন, কিন্তু আছে মাত্র দুটি। এ কারণে অধিক শ্বাসকষ্টে থাকা রোগীদের বাঁচানো কঠিন হয়ে পড়েছে।
বগুড়ার সিভিল সার্জন ডা. গউসুল আজিম চৌধুরী বলেন, গত বছর মোহাম্মদ আলী হাসপাতালকে করোনা বিশেষায়িত ঘোষণা করার সময় আইসিইউ ও কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থা কোনোটাই ছিল না। পরে আট শয্যার আইসিইউ চালু করা হয়। কিন্তু হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলার বরাদ্দ মিলেছে মাত্র দুটি। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থা চালু হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, হাই ফ্লো নাজাল ক্যানুলা ছাড়া আইসিইউ শয্যা করোনারোগীদের জন্য তেমন কাজে আসে না। শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে আরো কমপক্ষে ২৫টি হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা দরকার। বরাদ্দ চেয়ে দফায় দফায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। তবে এখনো বরাদ্দ মেলেনি।