সময় সংবাদ ডেস্কঃ
খুলনার তিন হাসপাতালে আরো ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সকাল ৮টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৮ টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় তিনটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।
এর মধ্যে খুলনা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে ৮ জন, জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ৫ জন ও বেসরকারি গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে খুলনার শহীদ শেখ আবু নাসের হাসপাতালের করোনা ইউনিটে গেল ২৪ ঘণ্টায় কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি। সোমবারও খুলনার চার হাসপাতালে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
খুলনা ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালের ফোকাল পার্সন ডাঃ সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে করোনায় চারজন ও উপসর্গে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। করোনায় মৃত ব্যক্তিরা হলেন- খুলনা মহানগরীর চানমারী এলাকার মমতাজ বেগম, খালিশপুরের রহিমা পারভীন, সোনাডাঙ্গার মনোয়ারা বেগম ও বাগেরহাটের ফকিরহাটের সুব্রত পাল। হাসপাতালটিতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১৮০ জন। যার মধ্যে রেড জোনে ১০৯ জন, ইয়োলো জোনে ৩১ জন, আইসিইউতে ২০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ৩৩ জন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ী ফিরেছেন ৪০ জন।
গাজী মেডিকেল হাসপাতালের স্বত্বাধিকারী ডাঃ গাজী মিজানুর রহমান জানান, ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চারজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতরা হলেন, নগরীর বড় বয়রা এলাকার নোভা রানী দাশ, খুলনার ডুমুরিয়ার নজরুল ইসলাম, পাইকগাছার কপিলমুনির শোভা রানী সাহা এবং বাগেরহাট সদরের মাহমুদা বেগম,। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরো ১৩৪ জন।
এরমধ্যে আইসিইউতে রয়েছেন ৯ জন ও এইচডিইউতে আছেন ১১ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ৩৬ জন এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৭ জন। পিসিআর ল্যাবে ৬২টি নমুনা পরীক্ষায় ৪৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
খুলনা জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডাঃ কাজী আবু রাশেদ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত ব্যক্তিরা হলেন, নগরীর খালিশপুরের জিল্লু মিয়া, রূপসার নন্দনপুরের শরিফুল ইসলাম, রহিমনগরের আমির হোসেন, বাগেরহাট ফকিরহাটের শারমিন বেগম এবং একই এলাকার মারিয়া খাতুন। এছাড়া চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৭০ জন, তার মধ্যে ৩৬ জন পুরুষ ও ৩৪ জন মহিলা। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ২৪ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৩ জন।
খুলনার শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মুখপাত্র ডাঃ প্রকাশ চন্দ্র দেবনাথ জানান, গত ২৪ঘন্টায় হাসপাতালের করোনা ইউনিটে কোনো মৃত্যু হয়নি। করোনা শনাক্ত হওয়া ৪৫ জন রোগী ভর্তি রয়েছে। যার মধ্যে আইসিইউতে রয়েছেন ১০ জন।