সময় সংবাদ ডেস্কঃ
রাঙামাটির সাজেকে করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই দেখা দিয়েছে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ। যারা জুম চাষ করেন তারাই বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। এ কারণে সাজেককে রেডজোন হিসেবে চিহ্নিত করেছে প্রশাসন।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সীমান্তবর্তী এ ইউনিয়নের ত্রিপুরা পাড়া, বড়ইতলী পাড়া, শিব পাড়া, দেবাছড়া, নরেন্দ্র পাড়া, মন্দির ছড়া, শিয়ালদহ, তুইচুই, বেটলিং এলাকায় ম্যালেরিয়ার সবচেয়ে প্রকোপ বেশি। এসব এলাকার মানুষ জ্বর হলে ফার্মেসি থেকে ওষুধ কিনে খায়, কিন্তু ডাক্তারের পরার্মশ নেয় না। ম্যালেরিয়া পরীক্ষা করে না, মশারিও ব্যবহার করে না। এসব কারণেই ম্যালেরিয়ার প্রকোপ বারবার দেখা দিচ্ছে।
স্থানীয়রা জানায়, বাঘাইছড়িতে এ বছর টানা বৃষ্টিপাত না হওয়ায় মশার উপদ্রব বেড়েছে। মশারি ব্যবহার, আশপাশের ঝোপঝাড় ও নর্দমা পরিষ্কার না করলে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ আরো বাড়বে।
সাজেক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নেনসন চাকমা জানান, দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় ম্যালেরিয়া রোগীরা রক্ত পরীক্ষা করতে আসে না। জ্বরের লক্ষণ দেখে ফার্মেসি থেকে ওষুধ নিয়ে যায়। জরুরি সভা করে মেম্বারদের এ বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়ানোর তাগিদ দেয়া হয়েছে।
বাঘাইছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ইফতেখার আহমদ জানান, গত বছরের তুলনায় এ বছর ম্যালেরিয়া রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। দুর্গম সাজেক ইউনিয়নকে ম্যালেরিয়ার রেডজোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। যারা জুম চাষে নিয়োজিত এবং মশারি ব্যবহার করে না তাদের মধ্যেই আক্রান্তের সংখ্যা বেশি।
বাঘাইছড়ির ইউএনও শরিফুল ইসলাম বলেন, বৃষ্টিপাত না হওয়ায় পাহাড়ের বিভিন্ন ঝিরি ও ছড়ায় পানি জমে মশার প্রজনন বেড়েছে। এছাড়া ভারতের মিজোরাম রাজ্যে ম্যালেরিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। সেখান থেকেও সাজেকে ম্যালেরিয়া ছড়িয়ে পড়তে পারে। সবাইকে মশারি ব্যবহার ও আশপাশের ঝোপঝাড়-নর্দমা পরিষ্কার রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
রাঙ্গামাটির সিভিল সার্জন ডা. বিপাশ খীসা জানান, চারটি উপজেলায় ম্যালেরিয়া রোগী বৃদ্ধি পেয়েছে। সব উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের নিজ নিজ এলাকায় বাড়তি নজর রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।