সু চির বিরুদ্ধে নতুন চার অভিযোগ - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

মঙ্গলবার, জুলাই ১৩, ২০২১

সু চির বিরুদ্ধে নতুন চার অভিযোগ


 

সময় সংবাদ ডেস্কঃ


মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যূত নেত্রী অং সান সু চির বিরুদ্ধে আরো চারটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্ডালের একটি আদালতে এ অভিযোগগুলো দায়ের করা হয়। 

সোমবার সংবাদমাধ্যম রয়টার্সকে সু চির আইনজীবী মিন মিন সো বলেন, অভিযোগগুলো দুর্নীতি সংক্রান্ত। আমরা জানি না তারা কেন মামলাগুলো করল? অথবা সুর্নিদিষ্ট কারণই বা কী? আমরা বিষয়গুলো খতিয়ে দেখব।


সংবাদমাধ্যম রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়, সু চির বিরুদ্ধে মামলার অন্যতম বিষয়বস্তু দুর্নীতি। মামলায় আরও অভিযুক্ত তার সরকারের সাবেক মন্ত্রী মিন থু। এ দুটি তথ্য ছাড়া অভিযোগের বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।


মিন মিন সোয়ে বলেন, দুর্নীতির অভিযোগ বলে জানতে পেরেছি। কিন্তু মামলায় অভিযোগের সুনির্দিষ্ট কারণ বা ঘটনা জানা যায়নি। আশা করছি, শিগগিরই তাও জানতে পারব।


চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি সেনা অভ্যুত্থানে আটক ও ক্ষমতাচ্যুত হন শান্তিতে নোবেলজয়ী সু চি। নতুন মামলাগুলোতে ৭৬ বছর বয়সী সু চির বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া চলতে পারে তিনটি শহরে।


অবৈধ আমদানি, ওয়াকিটকি রেডিও কেনা ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইনে করোনাভাইরাসবিষয়ক বিধিনিষেধ লঙ্ঘনের অভিযোগে রাজধানী নেপিডোতে বিচারাধীন তিনি।


সরকারি গোপন তথ্য আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ইয়াঙ্গুনের আদালতেও মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এ মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে সর্বোচ্চ ১৪ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে তার। সু চির বিরুদ্ধে আনা এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন তার আইনজীবীরা।


পরোয়ানা ছাড়াই সু চির বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান আইনজীবী খিন মাউং জ।


মিয়ানমার সেনাবাহিনীর মুখপাত্র জ মিন তুন সোমবার একটি সংবাদ সম্মেলনে অংশ নিলেও সু চির বিরুদ্ধে নতুন মামলার বিষয়ে কোনো কথা বলেননি তিনি।


সু চির বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে মিন তুন বলেন, শাসনব্যবস্থায় প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্টের মাঝামাঝিতে রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টার পদ তৈরির মাধ্যমে সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন সু চি। নতুন মামলায় এ অভিযোগও রয়েছে কিনা, তা জানা যায়নি।


প্রয়াত স্বামী ও সন্তানদের বিদেশি নাগরিকত্ব থাকায় মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না সু চি। তাই ২০১৫ সালের নির্বাচনে জয়ের পর রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা হিসেবে ক্ষমতা নেন তিনি।


মিয়ানমারের সংবিধানে প্রেসিডেন্ট সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী হলেও ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার আগ পর্যন্ত কার্যত রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ নেতা ছিলেন সু চি।

Post Top Ad

Responsive Ads Here