সময় সংবাদ ডেস্কঃ
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে কার্টন তৈরির কারখানায় আগুনে পুড়ে মারা যাওয়া ৫০ শ্রমিকের লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হচ্ছে। সেখানে ডিএনএ (ডিঅক্সিরাইবোনিউক্লিক অ্যাসিড) পরীক্ষার মাধ্যমে স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা বিভাগের উপপরিচালক দেবাশীষ বর্মণ বলেন, ভবনের চারতলায় কলাপসিবল গেট বন্ধ ছিল। ফলে কোনো শ্রমিক বের হতে পারেননি। ভবনের চারতলায় বেশির ভাগ লাশ পাওয়া গেছে।
তিনি বলেন, সাততলা ভবনটির নিচতলায় ছিল কার্টন তৈরির কারখানা। সেখানেই প্রথমে আগুন লাগে। বের হতে অনেকেই গেটের কাছে গিয়ে তালাবদ্ধ দেখতে পান। এরপর শ্রমিকরা ভবনের ওপরে উঠে যান। কিন্তু সেখানে গিয়েও ভবনের ছাদে তালাবদ্ধ দেখেন। ফ্লোর ও ছাদের কলাপসিবল গেট তালাবদ্ধ থাকায় এত শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কারখানার শ্রমিকরা জানান, প্রতি তলায় একটি করে সেকশন রয়েছে। সেখানে প্রবেশ ও বের হওয়ার গেট রয়েছে। কারখানায় তিন শিফটে ২৪ ঘণ্টা কাজ হয়। যখন শ্রমিকরা ঢোকেন এবং শিফট শেষে বের হন তখন গেট খোলা হয়। নিচতলায় আগুন লাগলে সে খবর ওপরে দেয়াই হয়নি। আর দ্রুত আগুন গোটা ভবনে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কর্ণগোপ এলাকায় হাশেম ফুডস অ্যান্ড বেভারেজ কোম্পানির কার্টন কারখানায় এ আগুন লাগে। আগুন নেভাতে অল্প সময়ের মধ্যেই সেখানে ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিট কাজ শুরু করে। রাত ৮টার দিকে ফায়ার সার্ভিস জানায়, সাততলা ভবনের ছয়তলা পর্যন্ত আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। ভবনে আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধার কাজ শুরু করেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।