ওবায়দুল ইসলাম রবি, রাজশাহী প্রতিনিধিঃ
রাজশাহীতে নারী ও শিশুদের উন্নয়ন নিয়ে কাজ করছে অনেক বে-সরকারি সংস্থা (এসজিও)। এই করোনা মহামারির মধ্যেও থেমে নেই নারী ও শিশু নির্যাতনসহ হত্যার মত জঘন্যতম অপরাধ। নারী ও শিশু নির্যাতন পরিস্থিতি বিভিন্ন মাত্রায় অবনতিসহ যৌতুক ও পরকীয়ার কারনে নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে। বিদেশি কিছু টিভি সিরিয়াল পরকিয়াকে উৎসাহিত করছে। পারিবারিক কলহ ও প্রেম ঘটিত কারনে হত্যা-আত্মহত্যা এবং অমানবিক নির্যাতনের মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
রাজশাহী জেলায় দীর্ঘদিন যাবৎ নারী ও শিশুর উন্নয়নে কাজ করছে উন্নয়ন সংস্থা লেডিস অর্গানাইজেশন ফর সোসাল ওয়েলফেয়ার (লফস)। তাদের কাছে সুরক্ষিত তথ্য মতে চলমান বছরে জুন মাসে ৩৪ জন নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনার তথ্য পাওয়া গেছে। গত জুন মাসে শিশু হত্যা করা হয়েছে ১ জন, আত্মহত্যা করেছে ৭ জন নারি ও শিশু, ধর্ষনের শিকার হয়েছেন ১ জন শিশু ও ৪ জন নারী, ধর্ষন চেষ্টা করা হয় ১ জন শিশুকে। অপরদিকে গণধর্ষনের শিকার হয়েছে ১ জন শিশু, ধর্ষণের ও হত্যা করা হয় ১ জন শিশুকে, যৌন নির্যাতনের শিকার হয় নারী ও শিশু সহ ৩ জন, নির্যাতনের শিকার ৪ নারী, ভিকটিম অফ পর্নোগ্রাফি ১ জন শিশু, অপহরণ হয়েছে ২ জন শিশু, অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে ৮ জন নারী ও শিশু।
প্রসঙ্গত, লফস এর নির্বাহী পরিচালক শাহানাজ পারভীন বলেন, রাজশাহীতে নারী ও শিশু নির্যাতনের প্রকাশিত তথ্য হতাশাজনক। বর্তমান করোনা মহামারির মধ্যেই নারী ও শিশু নির্যাতন এর মতো জঘন্য ঘটনা থেমে নেই যা সকলের জন্য উদ্বিগ্নের। বিভিন্ন জাতিয় ও স্থানীয় সংবাদপত্রে নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনার সংবাদ প্রকাশ হলেও অপ্রকাশিত থেকে যায় অনেক ঘটনা। রাজশাহী অঞ্চলে নারী শিশু নির্যাতন সহ সার্বিক ঘটনাগুলোর সুষ্ঠু তদন্ত করে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।