বিবাহ বন্ধনের ফাঁদে ফেলে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে মা ও মেয়ে - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

বুধবার, জুলাই ১৪, ২০২১

বিবাহ বন্ধনের ফাঁদে ফেলে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে মা ও মেয়ে





রাজশাহী প্রতিনিধিঃ


রাজশাহী চারঘাট উপজেলায় দুই নারীর বিরুদ্ধে বিবাহ বন্ধনসহ নানা ফাঁদে ফেলে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ তুলেছে ভুক্তভোগীরা। স্থানীয় থানা পুলিশ ও রাজনৈতিক ব্যাক্তিবর্গও পরাজিত ওই নারীর কৌশলের কাছে। অনুসন্ধানে জানাযায়, অভিযুক্ত তুহিনারা খাতুন আছমা এবং তার মা সুফিয়া বেগম এই সিন্ডিকেটের মূল হোতা। উপজেলার শুলুয় উনিয়ন এর ১,২ এব ৩ নং ওর্য়াডের মহিলা মেম্বার সুফিয়া বেগম। উপজেলার হলিদাগাছি আবাসন-২ বসবাস করে। নিজ মায়ের ইন্ধনে তুহিনারা খাতুন আছমা (২৭) বিভিন্ন পুরুষের সাথে পারিবারিক ও ভাই-বোনের সর্ম্পক, প্রেমের অভিনয় কখন বা বিবাহ বন্ধনের মিথ্যা ঘটনা তৈরী করে। পরে তাদেরকে মুক্তি দেয়া হয় বড় অংকের টাকার বিনিময়ে। মূলত নাটের গুরু মেম্বার সুফিয়া বেগম।   

সম্প্রতী, তুহিনারা খাতুন আছমা চারঘাট মডেল থানায় একটি সালিশে বিশ খেয়ে আত্মহত্যার নাটক করে। অসুস্থ মেয়েকে পরিবারের লোকজন চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়ার জন্য নিয়ে যায়। ঘটে যাওয়া সংবাদের সূত্র ধরে অগ্রসর হতেই বাহির হয়ে আসে আসল রহস্য। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর তথ্য মতে, অভিযুক্ত নারী গোপন একটি রোগের ঔষধ পরিমানে বেশি খাওয়ার দুরুন তার তৎক্ষনাত শাররীক দুর্বলতা দেখা দেয়। তবে মেয়ের মা অভিযোগ করে বলে, বেশ কিছু দিন যাবত আব্দুল করিম নামে এক পুলিশ সদস্য তার মেয়ের সাথে সর্ম্পক করে আসছে। বর্তমান সে তার মেয়েকে বিবাহ করতে অসম্মতি প্রকাশ করছে। যার কারনে তার মেয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করে। 

তবে ঘটনার অনুসন্ধানে উঠে আসে আসল চিত্র। অভিযুক্ত তুহিনারা খাতুন আছমা বিবাহিত এবং ১ কণ্যার জননী। তার মা সুফিয়া বেগম মৃত আছলাম উদ্দিনের স্ত্রী। মহিলা মেম্বার সুফিয়া ও তার মেয়ে নারীর আইন ক্ষমতায়ন প্রয়োগ করে নানা পেশার পুরুষকে ফাঁদে ফেলে বড় অংকের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। কিন্ত তাদের মূল টার্গেট চাকুরীজীবী পুরুষ। রাজশাহী মহানগরীর ফেরদৌস নামে এক ছেলেকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে তার বাড়িতে নিয়ে আসে আটক করে। পরে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে মুক্তি দেয়। অপরদিকে চারঘাট উপজেলার নাওদাপাড়া গ্রামের জালাল উদ্দিনর এবং মাতা মারিয়া বেগমের ছেলে (সেনাবাহিনীর সদস্য) মামুন আলীকে সর্ম্পকের জালে ফেলে (জাল নিকাহনামায়) বিবাহ করে। কিন্ত বিবাহ বন্ধন থেকে মুক্তি দেয়ার লক্ষে মামুনের পরিবারের কাছে ১২ লক্ষ টাকা দাবি করে মেয়ে আছমা ও তার মা মহিলা মেম্বার সুফিয়া। প্রসঙ্গত, ভুক্তভোগীর মামুনের মা মারিয়া বেগম পত্রিকাকে জানায়, ওই সুফিয়া মেম্বার এই পর্যন্ত ৫টি ছেলের সাথে বিবাহ করে। সময়ের ব্যবধানে তাদের থেকে বিভিন্ন অংকের টাকা নিয়েছে। বর্তমান সুফিয়ার মেয়ে আছমাও তার ছেলে মামুনকে ফাঁদে ফেলেছে। তবে মুক্তির লক্ষে ১২ লক্ষ টাকা দাবি করছে।    

অন্যদিকে বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির (বিপিএ) সদস্য নায়েক আব্দুল করিমের সাথে বড় ভাই এর সর্ম্পক গড়ে তুলে সুফিয়ার মেয়ে তুহিনারা খাতুন আছমা। তারপর থেকে উভয় পরিবারের মধ্যে বেশ ভাল একটি আত্মিয়তা হয়। তবে গত শনিবার ১০ জুলাই ২১ তারিখ রাত অনুমান ১০.৩০-১১ টার সময় সু-কৌশলে করিমকে মুক্তারপুর ট্রাফিক মোড়ে ডেকে নিয়ে যায় মহিলা মেম্বার সুফিয়া। ওই সময় করিমের সঙ্গে খারাপ আচরন করে এবং আছমাকে বিবাহ করার জন্য জোড় দাবি করে। পক্ষান্তরে বিবাহ না করলে ভুক্তভোগীর কাছে ৫ লক্ষ টাকা দাবি করে অভিযুক্ত তুহিনারা খাতুন এবং তার মা মহিলা মেম্বার সুফিয়া বেগম। অভিযুক্তরা উপজেলার সাদিপুর গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে রফিকুল ইসলাম এর সহযোগিতায় স্মরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়, পুলিশ সদর দপ্তর, জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় এবং বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি (বিপিএ) দপ্তরে একটি মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ প্রেরণ করেছে। আছমা সোসাল মিডয়া টিকটক ও লাইকির মাধ্যমে বিভিন্ন পুরুষকে ফাঁদে ফেলে অর্থ আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। এতথ্য নিশ্চিত করেছেন নায়েক আব্দুল করিম। 

ইতোমধ্যে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর তদন্তে পুলিশ সদস্য করিমের কোন অপরাধ প্রমান হয়নি। সার্বিক বিষয়ে পর্যালোচনায় ভুক্তভোগী নায়েক আব্দুল করিম নারী ঘটিত কোন ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্টতা নেই। তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগকারিরা অসৎ উদ্দেশ্যে নানা রকম গুজব রটাচ্ছে বলে জানান, চারঘাট মডেল থানার ওসি জাহাঙ্গির হোসেন।

Post Top Ad

Responsive Ads Here