সময় সংবাদ ডেস্কঃ
লালমনিরহাটে তিস্তা নদীর পানি হঠাৎ করে বৃদ্ধি পাওয়ায় বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তা নদীর পানি জেলার ৫টি উপজেলার নিম্নাঞ্চলে ঢুকে বন্যার দেখা দিয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার রাত ১১ টার পর ওই পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ৩০ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। ৪ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
শুক্রবার সকালে নদীর পানি তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে বিপদসীমার ২০ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। হাতীবান্ধার তিস্তা ব্যারেজ ডালিয়া পয়েন্টে সকাল ৯টায় পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ৮০ সেন্টিমিটার, যা বিপদসীমার ৩০ সেন্টিমিটার উপর (স্বাভাবিক বিপদসীমা ৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার) দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় লালমনিরহাটের পাটগ্রাম, হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ, আদিতমারী ও সদর উপজেলার চর অঞ্চলের বসতবাড়িগুলোতে পানি উঠেছে। ধারণা করা হচ্ছে তিস্তার পানি ৫ উপজেলায় অন্তত ৪ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা তীরবর্তী ৬টি ইউপির অনেক এলাকায় পানি ঢুকে পড়েছে। ওই উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়নের বেশ কিছু পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন এমন দাবী করেন ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামল।
তিস্তা ব্যারাজের পানি বিজ্ঞান শাখার উপ-সহকারী প্রকৌশলী ইলিয়াস আলী জানান, ভারত থেকে প্রচণ্ড গতিতে পানি বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসছে। তিস্তা ব্যারাজের সব গেট খুলে দিয়ে পানির চাপ নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আরো কি পরিমাণ পানি আসবে তা ধারণা করা যাচ্ছে না।
লালমনিরহাট ডিসি আবু জাফর জানান, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সব প্রকার প্রস্তুতি এরইমধ্যে হাতে নেয়া হয়েছে। বন্যা কবলিত এলাকায় ত্রাণ বিতরণ করার কাজ চলছে।