সময় সংবাদ ডেস্কঃ
চলমান কঠোর লকডাউন শিথিল না করে আরো ১৪ দিন বাড়ানোর সুপারিশ করেছে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। এ সময়ে কোরবানির পশুর হাট বন্ধ রাখার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে।
বুধবার জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির ৪১তম অনলাইন সভায় কমিটির সদস্যদের উপস্থিতিতে বিস্তারিত আলোচনা শেষে ছয় দফা সুপারিশ প্রস্তাব করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লা।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, সারাদেশে করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। এ অবস্থায় লকডাউন শিথিল করার সরকারি সিদ্ধান্ত গভীর উদ্বেগের। সভায় জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি চলমান কঠোর লকডাউন আরো ১৪ দিন বাড়ানোর সুপারিশ করেন।
লকডাউনের অংশ হিসেবে কমিটি কোরবানির হাট বন্ধ রাখার প্রস্তাব করেন। প্রয়োজনে ডিজিটাল হাট পরিচালনার ব্যবস্থাও করা যেতে পারে। তবে সরকার লকডাউন শিথিল করে সীমিত পরিসরে কোরবানির হাট পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিলে, সেক্ষেত্রে সংযুক্ত বিধিনিষেধগুলো প্রয়োগের বিষয়ে সুপারিশ করা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সরকার সারাদেশে কোভিড-১৯ পরীক্ষার সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়াচ্ছে যা সন্তোষজনক। জাতীয় পরামর্শক কমিটির আগের সভার সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে বেসরকারি পর্যায়ে করোনা পরীক্ষার মূল্য পুনর্নির্ধারণ করায় সরকারকে ধন্যবাদ জানানো হয়।
দৈনিক পরীক্ষার সংখ্যা আরো বাড়ানোর জন্য বেসরকারি পর্যায়েও পরীক্ষা বাড়ানো প্রয়োজন। এ লক্ষ্যে পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় কিটের দাম আরো কমায় করোনা পরীক্ষার ফি কমিয়ে ১০০০-১৫০০ টাকার মধ্যে নির্ধারণের পরামর্শ দেওয়া হয়।
এছাড়া বর্তমানে অনেক করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে শয্যার অতিরিক্ত রোগী ভর্তি রয়েছে। ফলে চিকিৎসা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে ফিল্ড হাসপাতাল স্থাপন জরুরি। তবে স্বাস্থ্য অধিদফতর এরই মধ্যে বিভিন্ন পর্যায়ে ফিল্ড হাসপাতাল স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে। এমন উদ্যোগকে সভায় অভিনন্দন জানানো হয় এবং দ্রুত সময়ে সেগুলো বাস্তবায়নের অনুরোধ করা হয়।
সরকারের নিরন্তর চেষ্টায় দেশে কোভিড-১৯ এর টিকা সুলভে প্রাপ্তি সম্ভব হয়েছে এবং আবারো সারাদেশে একযোগে টিকা কার্যক্রম শুরু হওয়ায় সরকারকে ধন্যবাদ জানানো হয়।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণ মোকাবিলায় সরকার ১ জুলাই থেকে সাতদিনের কঠোর বিধিনিষেধ জারি করে। পরবর্তীতে এ বিধিনিষেধ আরো সাতদিন বাড়িয়ে ১৪ জুলাই পর্যন্ত করা হয়।