কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টার ১৪ দিনে পার হলেও অভিযুক্তদের আটক করেনি চারঘাট থানা পুলিশ - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

শিরোনাম

বৃহস্পতিবার, জুলাই ০৮, ২০২১

কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টার ১৪ দিনে পার হলেও অভিযুক্তদের আটক করেনি চারঘাট থানা পুলিশ


 

রাজশাহী প্রতিনিধিঃ

রাজশাহী চারঘাট পৌরসভার কুঠিপাড়া গ্রামের এক কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টায় রাজশাহীর চারঘাট মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। উক্ত ঘটনার ১৪ দিন পার হলও ধর্ষণ চেষ্টার অভিয়ুক্তদের আটক করেনি চারঘাট মডেল থানার পুলিশ। ভুক্তভোগীর মাতা সেলিনা আক্তার সংবাদিককে বলন, আমার মেয়ে কে ধর্ষণের চেষ্টার সঠিক বিচারের আশায় প্রহর গুনছি। বর্তমান অভিযুক্তরা স্থানীয়দের মাধ্যমে এজাহার তুলে নেয়ার জন্য বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি সহ প্রাণ নাশের হুমকি দিচ্ছে।   

প্রসঙ্গত বিষয়ে তিনি বলেন, গত ২৪ জুন ২০২১ তারিখ সকাল অনুমান ১১.১০ টার সময় আমার মেয়ে প্রাইভেট শেষে বাড়ি ফিরছিল। ওই সময় রাজশাহী চারঘাট উপজেলার গৌড়শহরপুর কুঠিপাড়া গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে জাফর আলী (২৮), এবং লালনের ছেলে লিখন (১৯), নতুনপাড়া গ্রামের মাজদুরের ছেলে জীবন আলী (২২), কালামের ছেলে সাব্বির (২৩) এবং কামরুল ইসলামের ছেলে রাতুল (১৯) আমার মেয়ের পিছু নেই। এক পর্যায়ে তারা কুঠিপাড়া গ্রামের মৃত নইমুদ্দিন এর ছেলে আব্দুল লতিফের বাড়ির একটি কক্ষে জোড়পূর্বক তুলে নিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়। পরে তারা আমার মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টায় তার পরনের কাপড় খুলে ফেলে এবং স্বর্শকাতর স্থানে হাত দেয় এবং মোবাইল দিয়ে ভিডিও ধারন করে। ওই সময় সে নিজেকে বাচাঁতে চিৎকার করে, কিন্ত বাড়ির ভিতরের কক্ষে থাকা অভিযুক্ত বখাটে ছেলেরা আমার মেয়েকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এবং মারধর করে এবং তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। পরে ঘটনার উপস্থিত বিষয় গুলো দেখে বাড়ির মালিক আব্দুল লতিফ তাদেরকে বাচাঁতে এগিয়ে আসলে সংবদ্ধদল তাকে ভয়ভীতি দেখায়। 

মঙ্গলবার সকালে কুঠিপাড়া সমাজ উন্নয়ন সংঘটনকে জানালে, সম্পাদক মানিক মিয়া ঘটনার নিস্পত্তি করার চেষ্টা করে। কিন্ত পূনরাই ওই দল ক্ষিপ্ত হয়ে অরো লোক জন নিয়ে গত ৪ জুলাই ২১ তারিখে মানিককে হত্যার উদ্দ্যেশে আক্রমন করে। এই বিষয়টি সত্য নিশ্চিত করে সমাজ উন্নয়ন সংঘটনের সম্পাদক মানিক মিয়া সাংবাদিককে বলেন, শামীম সরকার, রাজিব, সাব্বির, বিজয়, জীবন, অন্তর, রিমন, সিজার, রবিন, রাতুল, কনকসহ অজ্ঞাত ৬-৭ জন মিলে তাকে হত্যার উদ্দ্যেশে অতর্কিত হামলা চালায়। নিজের নিরাপত্তার কারনে চারঘাট মডেল থানায় একটি এজাহার করেছে ভুক্তভোগী মানিক। কিন্ত অভিযুক্ত শামীম সরকার বলেন, প্রকৃত অর্থে তিনি উভরে দ্বন্দ্ব নিস্পত্তি 

স্থানীয়দের সাক্ষাতকারে জানাযায়, অভিযুক্তরা ইতোপূর্বে কুঠিপাড়া গ্রামের পাপ্পু মিয়ার ছেলে শরিফ উদ্দিনকে (রাজশাহী কলেজের অর্নাস এর ৪র্থ বর্ষের ছাত্র) বিশাল ও তার দলবল নিয়ে হাতুর দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। যার কারনে শরিফ উদ্দিন (২৩) এর বাবা পাপ্পু মিয়া গত ১৬ জানুয়ারী ২১ তারিখে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। একই ভাবে অরো বেশ কয়েকটি সন্ত্রাসী কার্যকলাপ পরিচালনা করেছে ওই দল। তাদের দুরদর্শিতার চলমান থাকলে ভবিষৎতে অনেক বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে বরে মনে করছেন সচেতন ব্যাক্তিরা।  

কুঠিপাড়ার নারী ঘটিত অভিযোগের তদন্তে নিয়োগকৃত এএসআই আশরাফু ইসলাম বলেন, ওসি (স্যার) আমকে মামলা তদন্ত করতে বলেছিলেন। সরজমিনে গিয়ে ঘটে যাওয়া ঘটনার তদন্ত করে জমা দেয়া হয়েছে। এখন উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত চুড়ান্ত হলে আসামীদের আটক করা হবে। তবে সার্বিক বিষয়ে নিয়ে ওসি জাহাঙ্গির হোসেন পত্রিকার প্রতিবেদককে বলেন, ভুক্তভোগীরা নারী ঘটিত বিষয়ে কোন মামলা দায়ের করেনি। যার কারনে অভিযুক্তদের আটক করা হচ্ছে না।