জেলা প্রতিনিধিঃ
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় ধর্ষণে ৭ম শ্রেণির এক মাদরাসাছাত্রীর অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ঘটনায় তোলপাড় চলছে। ঘটনা ধামাচাপা দিতে একটি প্রভাবশালী মহল উঠেপড়ে লেগেছে। দুই দফা সালিশের পর সাড়ে চার লাখ টাকায় তারা দফারফাও করেছে।
এ পরিস্থিতিতে প্রভাবশালীদের হুমকির মুখে আইনের দ্বারস্থ হতে পারছে না ধর্ষণের শিকার ছাত্রীর পরিবার। অন্যদিকে ঘটনাটি ব্যাপকভাবে জানাজানি হওয়ায় গা ঢাকা দিয়েছে অভিযুক্ত আব্দুল্লাহ। সে ঐ উপজেলার এগারসিন্দুর ইউনিয়নের বারাবর গ্রামের আহাম্মদের ছেলে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ঐ ছাত্রীকে নানা প্রলোভন ও ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রায় এক বছর ধর্ষণ করে আসছিল আব্দুল্লাহ। এক পর্যায়ে ছাত্রীটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। বর্তমানে তার পেটে পাঁচ মাসের সন্তাত। সম্প্রতি ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। এ অবস্থায় ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে তৎপর হয়ে ওঠে স্থানীয় একটি মহল। এর অংশ হিসেবে দুই দফা সালিশ হয়। সালিশে সাড়ে চার লাখ টাকায় ঘটনাটি মীমাংসা করা হয়। এছাড়া এ নিয়ে মুখ খুললে কিংবা আইনের আশ্রয় নিলে ভুক্তভোগী ছাত্রীর পরিবারকে গ্রামছাড়া করার হুমকি দেওয়া হয়।
পাকুন্দিয়া থানার ওসি মো. সারোয়ার জাহান বলেন, ঘটনার ব্যাপারে কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।