একবছর সংসারের পর ধর্ষণের অভিযোগ - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ১১, ২০২১

একবছর সংসারের পর ধর্ষণের অভিযোগ


  


জেলা প্রতিনিধিঃ



অল্প বয়সেই প্রেমের সম্পর্ক শুরু হয় নাজমুল হাসান ও ছবি আক্তারের মধ্যে। প্রেম থেকে গড়ায় অপ্রাপ্ত বয়সে বিয়ে। সংসারও চলে ১ বছরের বেশি। এরপর বাবার বাড়ি গিয়ে আর ফিরে আসেনি স্ত্রী ছবি। পরে শ্বশুর এমাদুল জামাতার বিরুদ্ধে ঠুকে দিলেন ধর্ষণ ও অপহরণ মামলা। আর সেই মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা মাথায় নিয়ে ঘুরছে স্বামী নাজমুল। এমনই ঘটনা ঘটেছে বরগুনার পাথরঘাটায়।

মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, চলতি বছরের ১০ সেপ্টেম্বর ঐ উপজেলার কাঠালতলী ইউনিয়নের কালীবাড়ি গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে নাজমুল ও তার সহযোগীরা ছবি আক্তারকে অপহরণ করে দুইদিন ধর্ষণ করে। এরপর পাশের বাদামতলা এলাকায় রেখে যায়। পরে ২০ সেপ্টেম্বর নাজমুলের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও অপহরণ মামলা করেন বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বাবা এমাদুল হক।


নাজমুলের পরিবার জানায়, নাজমুলের সঙ্গে ছবির প্রেমের সম্পর্ক হয়। এরপর নাজমুলের বাড়িতে ছবি আক্তার স্ত্রীর দাবি নিয়ে আসায় ওই সম্পর্ক বিয়ে পর্যন্ত গড়ায়। ২০২০ সালের জুলাই মাসে স্থানীয় ইউপি সদস্য আবদুর রহমানের মধ্যস্থতায় পারিবারিকভাবে বয়স না হওয়ায় ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে নিকাহ রেজিস্ট্রি ছাড়াই স্থানীয় মৌলভীর দ্বারা বিয়ে হয়। নাজমুলের মা প্রতিবন্ধী হওয়ায় সংসারের দায়িত্ব পড়ে যায় স্ত্রী ছবির ওপর। সংসারের কাজ থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য ছবি আক্তার বাবার বাড়িতে গিয়ে ওঠে। বাড়িতে না আসায় নাজমুল তার স্ত্রীকে একাধিকবার আনতে গেলেও সে আসবে না বলে জানিয়ে দেয়। ১ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টানতে চলতি বছরের ২০ সেপ্টেম্বর জামাই নাজমুলের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও অপহরণ মামলা করেন ছবি আক্তারের বাবা এমাদুল হক।


স্থানীয় মৌলভী আব্দুল মান্নান মুন্সি বলেন, প্রথমে আমি বিয়ে পড়াতে চাইনি। ইউপি সদস্যের নির্দেশেই বিয়ে পড়িয়েছি।


অভিযোগ অস্বীকার করে কাঠালতলী ইউনিয়নের মেম্বার আব্দুর রহমান জানান, তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না।


মামলার বাদী এমাদুল হক বলেন, আমার মেয়েকে নাজমুলসহ আরো দুইজন মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে দুইদিন পর বাদামতলা নামক স্থানে ফেলে রেখে যায়। নাজমুল আমার মেয়েকে ধর্ষণ করেছে। ওর উপযুক্ত শাস্তি চাই।

Post Top Ad

Responsive Ads Here