"শর্তপূরণ করলে বন্ধ হওয়া ক্লিনিকের নিবন্ধন বিবেচনা: স্বাস্থ্য অধিদফতর"
নিজস্ব প্রতিবেদক
বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের নিবন্ধনে শর্ত পূরণ করলে চলমান শুদ্ধি অভিযানে বন্ধ হয়ে যাওয়া ক্লিনিকগুলোর নিবন্ধন পুনর্বিবেচনা করা হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
শুদ্ধি অভিযানের শেষ দিন সোমবার বিকেলে এই ঘোষণা আসে। স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, নিবন্ধিত হাসপাতালগুলোতেও শুদ্ধি অভিযান চলবে।
গত রোববার পর্যন্ত সারাদেশে ৮৮২টি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালিত হয়। এগুলোর মধ্যে ৪১৩টি অনিবন্ধিত হাসপাতাল বা ক্লিনিক বন্ধ করা হয়েছে। বাকি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
আরো পড়ুন> নরসিংদী রেলস্টেশনে তরুণীকে হেনস্তাকারী সেই নারী গ্রেফতার
হাসপাতাল বা ক্লিনিকের লাইসেন্স পেতে কিছু শর্ত পূরণ করতে হয়। ১০ শয্যার একটি ক্লিনিকের লাইসেন্স পেতে হলে ঐ ক্লিনিকে কমপক্ষে তিনজন এমবিবিএস ডাক্তার, ছয়জন নার্স ও দুইজন ক্লিনার থাকতে হবে।
প্রত্যেকটি বেডের জন্য কমপক্ষে ৮০ বর্গফুট জায়গা থাকতে হবে। অপারেশন থিয়েটার হতে হবে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। সেইসঙ্গে আধুনিক যন্ত্রপাতি যা থাকতে হবে তার একটি তালিকাও দেওয়া আছে। এর সঙ্গে থাকতে হবে ট্রেড লাইসেন্স, টিআইএন নম্বর, বিআইএন নম্বর, পরিবেশ ও নারকোটিকস বিভাগের লাইসেন্স।
আউটডোর, জরুরি বিভাগ ও অপারেশন থিয়েটার সব ক্লিনিকের জন্য বাধ্যতামূলক নয়। হাসপাতালের ধরণ অনুযায়ী শর্ত নির্ধারণ করা হয়।
হাসপাতাল বা ক্লিনিকের লাইসেন্সের আবেদন করার পর স্বাস্থ্য অধিদফতরের একজন উপ-পরিচালকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি দল সরেজমিন তদন্ত করে লাইসেন্স প্রদান করেন। লাইসেন্সের শর্ত ঢাকা ও ঢাকার বাইরে একই। তবে লাইসেন্স ফি প্রদানে পার্থক্য রয়েছে। এক ইউনিটের একটি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে সর্বনিম্ন ১০টি শয্যা থাকতে হবে। শয্যা সংখ্যা বেশি হলে আনুপাতিক হারে জনবল এবং অন্যান্য সুযোগ সুবিধা বাড়াতে হবে।