 |
| আরএমপি'র ২ থানার অধীনে চোরাই ছাগলসহ ৪ ভূয়া গোয়েন্দা পুলিশ আটক | সময় সংবাদ |
ওবায়দুল ইসলাম রবি, রাজশাহী প্রতিনিধি:
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি) বোয়লিয়া মডেল থানা ও কাশিয়াডাঙ্গা থানা পুলিশের হাতে ৪জন ভূয়া গোয়ান্দা পুলিশ আটক হয়েছে। বোয়ালিয়া মডেল থানার অধীনে আটককৃতরা হলো মো: সোহান (২২) সে রাজশাহী জেলার চারঘাট থানার মো: মাহাবুবের ছেলে ও অপর আসামি মো: সেলিম ইসলাম মির্জা (২২) রাজশাহী মহানগরীর রাজপাড়া থানার সিপাইপাড়া এলাকার শরিফুল ইসলাম মির্জার ছেলে।
মো: খোকন আলীর স্ত্রী ও বোন গত ২৯ মে, ২০২২ সকাল সাড়ে ১০ টায় রিক্সায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাচ্ছিলো। যাওয়ার সময় বোয়ালিয়া মডেল থানার রাণীনগর এলাকায় আসামীদ্বয় খোকনের স্ত্রী ও বোনের রিক্সার গতিরোধ করে। তারা নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে খোকনের স্ত্রী ও বোনের দেহ তল্লাাশী করতে চায়। কিন্ত ভুক্তভোগীরা তাদের দেহ তল্লাশী করতে অসম্মতি প্রকাশ করে।
ওই সময় ভূয়াগোয়েন্দা পুলিশ তাদেরকে থানায় নিয়ে যাওয়ার ভয় দেখায়। একপর্যায়ে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে এগিয়ে আসলে আটককৃত ব্যাক্তিরা পালানোর চেষ্টা করে। পরে স্থানীয়রা ভূয়া পুলিশদের আটক করে এবং ৯৯৯ তে বিস্তারিত জানায়।
৯৯৯ এর তথ্য অনুসারে বোয়ালিয়া মডেল থানার ডিউটিরত অফিসার এসআই এম.এ.টি.এম জুলিফিকার হায়দার ও তার টিম স্থানীয়দের সহযোগিতায় আসামি মো: সোহান ও মো: সেলিমকে আটক করে। গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
অপরদিকে মহানগরীতে ছাগল চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় ডিবি পুলিশ পরিচয়দানকারী ২ ভ‚য়া ডিবি পুলিশকে আটক করেছে আরএমপি কাশিয়াডাঙ্গা থানা পুলিশ। ওইসময় তাদের কাছ থেকে চোরাই ছাগল-সহ এক জোড়া হ্যান্ডকাপ ও একটি সাংবাদিক আইডি কার্ড উদ্ধার হয়। তাদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে।
আটককৃতরা হলো মহানগরীর শাহমখদুম থানার বনতলার (আবাসিক সপুরা) মৃত নিজাম উদ্দিনের ছেলে মো: রানা আহম্মেদ (৩৬) ও নওগাঁ জেলার মান্দা থানার চক জামদৈই গ্রামের মৃত আজিজের ছেলে মো: শফিকুল ইসলাম ওরফে শরিফুল (২৭)।
এবিষয়ে উপ-পুলিশ কমিশনার (কাশিয়াডাঙ্গা) বিভ‚তি ভুষণ বানার্জী এর তত্ত¡াবধানে অফিসার ইনচার্জ এসএম মাসুদ পারভেজের নেতৃত্বে এসআই জীবন চন্দ্র বর্মন ও তার টিম গত ২৯ মে ২০২২ রাত ১০.১৫ টায় কাশিয়াডাঙ্গা থানার হড়গ্রাম কোর্ট স্টেশন মোড়ে আকস্মিক চেকপোস্ট ডিউটি করছিলেন।
ওই সময় ০২ জন মোটরসাইকেল আরোহী একটি ছাগল নিয়ে চেকপোস্টের দিকে আসতে দেখে সন্দেহ হলে, মোটরসাইকেল আরোহীকে থামার জন্য সংকেত দেয়। সংকেত পেয়ে চালক মোটরসাইকেল থামায়। তাদের পরিচয় জানতে চাইলে একজন ডিবি পুলিশের এসআই এবং অপর জন নিজেকে কনস্টেবল বলে জানায়।
তাদের কর্মস্থল ও ব্যাচ সম্পর্কে জানতে চাইলে তারা অস্বাভাবিক আচরণ করতে থাকে। পরবর্তীতে মোটরসাইকেল চালক তার পকেট হতে আইডি কার্ড বের করে নিজেকে এবার সাংবাদিক পরিচয় দেয়। এতে পুলিশের সন্দেহ আরো বেড়ে যায়। তারপর কাশিয়াডাঙ্গা থানা পুলিশ তাদের দেহ তল্লাশী করে চালক মো: রানা আহম্মেদের কাছ থেকে এক জোড়া হ্যান্ডকাপ উদ্ধার করে তাদেরকে আটক করে। এসময় তাদের কাছে থাকা চোরাই ছাগল এবং ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
পুলিশেল জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামিরা জানায়, তারা নওগাঁ কোর্ট এলাকা হতে উক্ত হ্যান্ডকাপ সংগ্রহ করে পুলিশ পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজি, প্রতারণা, চুরি, ছিনতাই-সহ বিভিন্ন অপরাধ করে আসছিলো।
এয়াড়া রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী থানার বড়শিপাড়া হতে উক্ত ছাগলটি চুরি করে এনেছে। গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আটককৃত ৪জন ভূয়া পুলিশের তথ্যটি নিশ্চিত করেছন জানান উপ-পুলিশ কমিশানার রফিকুল আলম।
