আসুন জেনে নেই বারি মরিচ চাষ পদ্ধতি | সময় সংবাদ - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

রবিবার, জুন ০৫, ২০২২

আসুন জেনে নেই বারি মরিচ চাষ পদ্ধতি | সময় সংবাদ

আসুন  জেনে নেই বারি মরিচ চাষ পদ্ধতি | সময় সংবাদ
আসুন জেনে নেই বারি মরিচ চাষ পদ্ধতি | সময় সংবাদ 




কৃষি ডেস্ক:



 বাংলাদেশের বিভিন্ন চর এলাকায় মরিচ প্রধান কৃষি ফসল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। তাছাড়া উত্তরবঙ্গ ও চট্টগ্রাম অঞ্চলে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে মরিচের চাষ হয়ে থাকে বারি মরিচ-২। এক পরিসংখ্যানে জানা যায়, এদেশে রবি এবং খরিফ মৌসুমে মোট ১.০২ লাখ হেক্টর জমিতে মরিচের চাষ হয় এবং উৎপাদন হয় ১.০৩ লাখ মে.টন (শুকনা মরিচ)। গড় ফলন ১.২৭ টন/হে. (শুকনা মরিচ)। আজ বারি মরিচ-১ নিয়ে আলোচনা।


জাত এর নামঃ

বারি মরিচ-১


আঞ্চলিক নামঃ

বাংলা লংকা


অবমূক্তকারী প্রতিষ্ঠানঃ


বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট


রোপণের সময় চারার বয়স : ২৫ দিন – ৩০ দিন


শতক প্রতি ফলন (কেজি) : ৪০ – ৫০


প্রতি শতক বীজতলায় বীজের পরিমান : ১২ গ্রাম – ১৫ গ্রাম


উপযোগী মাটি : দোআঁশ, বেলে-দোআঁশ, এটেল-দোআঁশ


সিরিজ সংখ্যাঃ


উৎপাদন ( সেচ সহ)/ প্রতি হেক্টরঃ

১০-১১ কেজি


জাত এর বৈশিষ্টঃ

১। গাছ খাটো ও বিস্তৃত।

২। উচ্চতা ৩০-৩৫ সেন্টিমিটার, পার্শ্ব বিস্তৃতিতে ৫৫-৬০ সেন্টিমিটার ।

৩। গাঢ় ঘন সবুজ পাতায় পরিবেষ্টিত।

৪। গাছ ঝোপালো হওয়ায় বাহির থেকে কাঁচা মরিচ দেখা যায় না। তাই অনিষ্টকারি পাখির উপদ্রব কম হয়।

৫। প্রতি গাছে ৪০০-৫০০ টি মরিচ ধরে।

৬। মরিচের ত্বক পুরত্ব। মরিচ পাকা অবস্থায় চকচকে লাল।

৭। লাল, কাঁচা এবং পাকা মরিচের ঝাল সহনীয়।

৮। বীজ হার ০.৮-১.০ কেজি/হেক্টর।


চাষাবাদ পদ্ধতিঃ

১ । বপনের সময় : রবি মৌসুম (সেপ্টেম্বর,) খরিপ মৌসুম (মধ্য ফেব্রুয়ারী- মধ্য মার্চ)

২ । মাড়াইয়ের সময় : মধ্য এপ্রিল থেকে মধ্য মে।



৩ । সার ব্যবস্থাপনা : ভাল ফলন পেতে হলে মরিচের জমিতে হেক্টর প্রতি নিম্নলিখিত মাত্রায় সার প্রয়োগ করতে হবে। চারা রোপণের ২৫, ৫০ এবং ৭০ দিন পর পর্যায়ক্রমে ১ম, ২য় ও ৩য় কিস্তিতে সার উল্লিখিত পরিমাণে গাছের গোড়া থেকে ১০-১৫ সেমি দূরে ছিটিয়ে ভিটির মাটিতে মিশিয়ে দিতে হবে।


চাষ করুন বাংলা লংকা মরিচ সংবাদের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে কৃষি প্রযুক্তি হাতবই, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, ৬ষ্ঠ সংস্করন, সেপ্টেম্বর,২০১৭।



Post Top Ad

Responsive Ads Here