![]() |
আসুন জেনে নেই বারি মরিচ চাষ পদ্ধতি | সময় সংবাদ |
কৃষি ডেস্ক:
বাংলাদেশের বিভিন্ন চর এলাকায় মরিচ প্রধান কৃষি ফসল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। তাছাড়া উত্তরবঙ্গ ও চট্টগ্রাম অঞ্চলে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে মরিচের চাষ হয়ে থাকে বারি মরিচ-২। এক পরিসংখ্যানে জানা যায়, এদেশে রবি এবং খরিফ মৌসুমে মোট ১.০২ লাখ হেক্টর জমিতে মরিচের চাষ হয় এবং উৎপাদন হয় ১.০৩ লাখ মে.টন (শুকনা মরিচ)। গড় ফলন ১.২৭ টন/হে. (শুকনা মরিচ)। আজ বারি মরিচ-১ নিয়ে আলোচনা।
জাত এর নামঃ
বারি মরিচ-১
আঞ্চলিক নামঃ
বাংলা লংকা
অবমূক্তকারী প্রতিষ্ঠানঃ
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট
রোপণের সময় চারার বয়স : ২৫ দিন – ৩০ দিন
শতক প্রতি ফলন (কেজি) : ৪০ – ৫০
প্রতি শতক বীজতলায় বীজের পরিমান : ১২ গ্রাম – ১৫ গ্রাম
উপযোগী মাটি : দোআঁশ, বেলে-দোআঁশ, এটেল-দোআঁশ
সিরিজ সংখ্যাঃ
১
উৎপাদন ( সেচ সহ)/ প্রতি হেক্টরঃ
১০-১১ কেজি
জাত এর বৈশিষ্টঃ
১। গাছ খাটো ও বিস্তৃত।
২। উচ্চতা ৩০-৩৫ সেন্টিমিটার, পার্শ্ব বিস্তৃতিতে ৫৫-৬০ সেন্টিমিটার ।
৩। গাঢ় ঘন সবুজ পাতায় পরিবেষ্টিত।
৪। গাছ ঝোপালো হওয়ায় বাহির থেকে কাঁচা মরিচ দেখা যায় না। তাই অনিষ্টকারি পাখির উপদ্রব কম হয়।
৫। প্রতি গাছে ৪০০-৫০০ টি মরিচ ধরে।
৬। মরিচের ত্বক পুরত্ব। মরিচ পাকা অবস্থায় চকচকে লাল।
৭। লাল, কাঁচা এবং পাকা মরিচের ঝাল সহনীয়।
৮। বীজ হার ০.৮-১.০ কেজি/হেক্টর।
চাষাবাদ পদ্ধতিঃ
১ । বপনের সময় : রবি মৌসুম (সেপ্টেম্বর,) খরিপ মৌসুম (মধ্য ফেব্রুয়ারী- মধ্য মার্চ)
২ । মাড়াইয়ের সময় : মধ্য এপ্রিল থেকে মধ্য মে।
৩ । সার ব্যবস্থাপনা : ভাল ফলন পেতে হলে মরিচের জমিতে হেক্টর প্রতি নিম্নলিখিত মাত্রায় সার প্রয়োগ করতে হবে। চারা রোপণের ২৫, ৫০ এবং ৭০ দিন পর পর্যায়ক্রমে ১ম, ২য় ও ৩য় কিস্তিতে সার উল্লিখিত পরিমাণে গাছের গোড়া থেকে ১০-১৫ সেমি দূরে ছিটিয়ে ভিটির মাটিতে মিশিয়ে দিতে হবে।
চাষ করুন বাংলা লংকা মরিচ সংবাদের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে কৃষি প্রযুক্তি হাতবই, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, ৬ষ্ঠ সংস্করন, সেপ্টেম্বর,২০১৭।