আজ সাড়ে চার কোটি টাকা পাচ্ছেন হাদিসুরের পরিবার | সময় সংবাদ - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

বৃহস্পতিবার, জুন ১৬, ২০২২

আজ সাড়ে চার কোটি টাকা পাচ্ছেন হাদিসুরের পরিবার | সময় সংবাদ

 

"আজ সাড়ে চার কোটি টাকা পাচ্ছেন হাদিসুরের পরিবার | সময় সংবাদ"

নিজস্ব প্রতিবেদক


রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে রকেট হামলায় নিহত এমভি বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজের নাবিক থার্ড ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মাদ হাদিসুর রহমানের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা দিচ্ছে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন (বিএসসি)।


আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর বিএসসি ভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে হাদিসুরের পরিবারের হাতে চেক হস্তান্তর করা হবে। পাশাপাশি এমভি বাংলার সমৃদ্ধির অন্য ২৮ কর্মকর্তা ও নাবিককেও তাদের র‌্যাংক অনুযায়ী সাত মাসের বেতনের সমপরিমাণ অর্থ দেওয়া হবে।


বিএসসি সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় বিএসসি টাওয়ারে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রত্যেককে চেক প্রদান করা হবে। অনুষ্ঠানে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।


গত ২০ মে মেরিনারদের সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল ট্রান্সপোর্ট ওয়ার্কার্স ফেডারেশন (আইটিএফ) এবং বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএমওএ) প্রায় সোয়া ১০ লাখ টাকার অর্থ সহায়তা প্রদান করে হাদিসুরের পরিবারকে।


বিএমএমওএ সভাপতি ক্যাপ্টেন মো. আনাম চৌধুরী বলেন, ইউক্রেনে রকেট হামলায় নিহত থার্ড ক্যাপ্টেন হাদিসুরের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে পাঁচ লাখ মার্কিন ডলারের (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকার বেশি) চেক দেবে বিএসসি। তাছাড়া জাহাজটির অন্য কর্মকর্তা ও নাবিকদের তাদের স্ব স্ব র‌্যাংক অনুযায়ী সাত মাসের সমপরিমাণ বেতনের চেক দেওয়া হবে।


জানা যায়, বিএসসির মালিকানাধীন জাহাজ বাংলার সমৃদ্ধি ডেনিশ কোম্পানি ডেল্টা কর্পোরেশনের অধীনে ভাড়ায় চলছিল। মুম্বাই থেকে তুরস্ক হয়ে জাহাজটি গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে যায়। সেখান থেকে সিমেন্ট ক্লে নিয়ে ২৪ ফেব্রুয়ারি ইতালির রেভেনা বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার কথা ছিল। এর আগেই ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরু হলে ২৯ জন ক্রু নিয়ে অলভিয়া বন্দরে আটকা পড়ে জাহাজটি। পরে গত২ মার্চ রকেট হামলায় জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমান মারা যান। তবে অন্য ২৮ জনকে অক্ষত অবস্থায় জাহাজটি থেকে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সহযোগিতায় সরিয়ে নেয়া হয়। এরপর ৫ মার্চ হাদিসুরের মরদেহ ও বেঁচে যাওয়া ২৮ নাবিককে অলভিয়া বন্দর সংলগ্ন বাংকার (শেল্টার হাউজ) থেকে বের করে মালদোভা হয়ে ৬ মার্চ রোমানিয়া নেয়া হয়।। ৯ মার্চ ২৮ নাবিক রোমানিয়ার বুখারেস্ট বিমানবন্দর থেকে তার্কিশ এয়ারের একটি ফ্লাইটে ইস্তাম্বুল হয়ে ঢাকায় ফেরেন। ১৪ মার্চ হাদিসুর রহমানের মরদেহ দেশে আনা হয়।





Post Top Ad

Responsive Ads Here