ওবায়দুল ইসলাম রবি, রাজশাহী প্রতিনিধি:
দেশে তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ চালুর পূর্বে তথ্য পাওয়ার ক্ষেত্রে কি অবস্থা ছিল এবং বর্তমানে কতটুকু তথ্য পাচ্ছেন? ১২ বছরে যে উন্নয়ন হয়েছে তার পিছনে রয়েছে এ আইন। দেশ অনুন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জন করেছে। আমাদের রয়েছে সর্ববৃহৎ ওয়েব পোর্টাল, এপিএ, এনআইএস ও নাগরিক সনদ, যা তথ্য প্রদান ও প্রকাশে সহায়ক ভূমিকা রাখছে।
সোমবার (০৬ জুন) বিকেলে তথ্য কমিশন বাংলাদেশ ও জেলা প্রশাসন, রাাজশাহী আয়োজিত তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ বিষয়ক জনঅবহিতকরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তথ্য কমিশনার সুরাইয়া বেগম এসব কথা বলেন। তথ্য কমিশনার বলেন, চারশত বছর পূর্বে সুইডেনে প্রথম তথ্য অধিকার আইন প্রণীত হয়।
আমাদের দেশে ১২ বছর পূর্বে এ আইনটি প্রণীত হয়। বর্তমানে বিশে^র ১২৯টি দেশে আইনটি চালু আছে। ১৯২৩ সালের গোপনীয়তা আইনে কাউকে কোন তথ্য দেয়া যায়না, কিন্তু তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ এ জনগণকে ক্ষমতায়িত করা হয়েছে। রাষ্ট্রের মালিক জনগণ, এ জনগণকে না জানিয়ে কোন কাজ করার অধিকার আমাদের নেই। তবে তথ্য না দেয়ার কালচার আমাদের কারো কারো মাঝে থাকতে পারে। এটি পরিবর্তন করতে আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আজকে আপনারা যা জানলেন তা আপনাদের অধীনস্থ, প্রতিবেশী এমনকি তৃণমূল পর্যায়ে যে ভদ্র মহিলাটি দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাস করছে তাকেও এ আইনটি সম্পর্কে জানাতে হবে। আমি গর্ব করে বলতে পারি ৯৬ শতাংশ তথ্য মাঠ পর্যায় থেকে দেয়া হচ্ছে অবশিষ্ট ৪ শতাংশ তথ্য কেন্দ্র থেকে প্রদান করা হচ্ছে। তথ্যের অবাধ প্রবাহের কারণে আমাদের সকল ক্ষেত্রে উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে।
আমরা অনেক দূর এগিয়ে গেছি আর কিছুদূর এগুলে আমরা সোনার বাংলার দিকে এগিয়ে যাবো। এসডিজির লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে একজনকেউ পিছনে ফেলে নয়, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ২০৪১ সালের উন্নত বাাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ গঠনে সুধীমহলসহ সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা এ স্বপ্ন পূরনে সক্ষম হব।
রাজশাহী জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনার জি এস এম জাফরউল্লাহ্, রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি মোঃ আব্দুল বাতেন, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ আবু কালাম সিদ্দিক ও জেলা পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন। তথ্য কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা লিটন কুমার প্রামাণিক অনুষ্ঠানের শুরুতে তথ্য অধিকার আইন-২০০৯ বিষয়ে পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপন করেন। সভায় বিভিন্ন দপ্তরের দপ্তর প্রধানগণ, জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও সাংবাদিকসহ সুধীজন উপস্থিত ছিলেন।