'বাড়ি ফেরার পথে ধর্ষণচেষ্টা, শাস্তি ৫ জুতার বাড়ি | সময় সংবাদ"
বরগুনা প্রতিনিধি
বরগুনার আমতলীতে প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফিরছিল ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রী। পথেই তাকে জাপটে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা চালান ৫০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি। তবে ধর্ষণচেষ্টাকারীর হাতে কামড় দিয়ে নিজেকে রক্ষা করে মেয়েটি।
ভুক্তভোগী ছাত্রী ও তার স্বজনরা জানান, ২৮ মে রাত ৯টার দিকে আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের খেকুয়ানি বাজারখালী স্লুইসগেট এলাকার একটি কোচিং সেন্টারে প্রাইভেট পড়ে ওই ছাত্রী। ছুটির পর বাড়ি ফেরার তাকে রাস্তায় জাপটে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা চালান একই গ্রামের বাসিন্দা আব্বাস খলিফা ওরফে লন্ড্রি আব্বাস। এ সময় ধর্ষণচেষ্টাকারীর হাতে কামড় দিয়ে চিৎকারে দিলে প্রতিবেশী ও তার মা এগিয়ে এলে আব্বাস খলিফা দৌড়ে পালিয়ে যান। তবে আব্বাস খলিফা এলাকায় প্রভাবশালী। আইনের আশ্রয় না নিতে হুমকি দেওয়ায় ভীত অবস্থায় রয়েছে ভুক্তভোগী ও তার পরিবার।
পরদিন ২৯ মে রাতে ঘটনা ধামাচাপা ও মীমাংসা করার জন্য মাওলানা ফোরকানের ঘরে সালিশে বসা হয়। সমাধানের চেষ্টা করা হলেও ওই দিন সমাধান হয়নি। পরে ওই রাতে ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর নানা আলাউদ্দিন খলিফার ঘরে বসে স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুস সত্তার মিয়া, ছোবাহান সিকদার, মাওলানা ফোরকান অভিযুক্ত আব্বাস খলিফাকে এক লাখ টাকা জরিমানা ও পাঁচবার জুতাপেটা করেন।
ইউপি সদস্য আব্দুস ছত্তার মিয়া বলেন, ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর পক্ষ মামলা করতে রাজি না হওয়ায় বিষয়টি সমাধান করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর মা বলেন, আমরা গরিব মানুষ। মামলা করে লন্ড্রি আব্বাসের সঙ্গে পারব না। এজন্য এলাকার বর্তমান মেম্বার ও মাদরাসার শিক্ষক ফোরকান মাওলানা সালিশ করে সমাধান দিয়েছেন। তবে জরিমানার এক লাখ টাকা এখনো পাইনি।
আমতলী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রণজিৎ কুমার সরকার বলেন, এখনো এ বিষয়ে লিখিত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।