কোরবানির জন্য প্রস্তুত ১ কোটি ২১ লাখ পশু | সময় সংবাদ - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

বুধবার, জুন ০৮, ২০২২

কোরবানির জন্য প্রস্তুত ১ কোটি ২১ লাখ পশু | সময় সংবাদ

  

কোরবানির জন্য প্রস্তুত ১ কোটি ২১ লাখ পশু | সময় সংবাদ
কোরবানির জন্য প্রস্তুত ১ কোটি ২১ লাখ পশু | সময় সংবাদ


সময় সংবাদ ডেস্ক:



প্রতিবছরের ন্যায় এবারও ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা কোরবানির জন্য প্রস্ততি নিতে শুরু করেছেন। খামারিরা উঠেপড়ে লেগেছেন পশুর যত্নে। যাতে ভালো দামে বিক্রি করতে পারেন। খামারিদের আশা পূরণ করতে সহযোগিতা করছে প্রাণিসম্পদ বিভাগ। দফতরের তথ্যমতে, সারাদেশে ১ কোটি ২১ লাখ কোরবানিযোগ্য পশু প্রস্তুত রয়েছে। যার ফলে বাইরে থেকে কোন পশু আমদানি হবে না। এতে পশুর ভালো দাম পাবেন খামারিরা।


প্রাণিসম্পদ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের মতো এবারও গবাদিপশুর পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। চলতি বছর ১ কোটি ২১ লাখ ২৪ হাজার পশুর মধ্যে গরু ও মহিষের সংখ্যা ৪৬ লাখ ১১ হাজার ৩৮৩টি। গরু-মহিষের এ সংখ্যার মধ্যে হৃষ্টপুষ্ট গবাদিপশু রয়েছে ৪২ লাখ ৪০ হাজার ৪৯৩টি আর গৃহপালিত গবাদিপশুর সংখ্যা ৩ লাখ ৭০ হাজার ৮৯০।


ছাগল-ভেড়ার সংখ্যা ৭৫ লাখ ১১ হাজার ৫৯৭, যার মধ্যে হৃষ্টপুষ্ট ছাগল-ভেড়া রয়েছে ৩৩ লাখ ৪৮ হাজার ৭৪০ আর গৃহপালিত গবাদি ছাগল-ভেড়ার সংখ্যা ৪১ লাখ ৬২ হাজার ৮৫৭। এছাড়া উট, দুম্বা ও অন্যান্য পশুর সংখ্যা ১ হাজার ৪০৯টি।




প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জিনাত সুলতানা এগ্রিকেয়ার২৪.কমকে বলেন, আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহায় কোরবানির জন্য আট বিভাগের ৬ লাখ ৮১ হাজার ৫৩২টি খামারের তথ্য অনুযায়ী পশুর পরিসংখ্যান তৈরি করা হয়েছে।


পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এ বছর খামারিদের কাছ থেকে হৃষ্টপুষ্ট পশু আসবে ঢাকা থেকে ৬ লাখ ৩৭ হাজার ১৯৬টি, চট্টগ্রাম থেকে ১৫ লাখ ১২ হাজার ১১৪, রাজশাহী থেকে ২৭ লাখ ২৮ হাজার ৪৬০, খুলনা থেকে ৮ লাখ ৭৯ হাজার ২৫১, বরিশাল থেকে ৩ লাখ ৭৪ হাজার ৫৪৩, সিলেট থেকে ১ লাখ ৬৬ ৩৫৩, রংপুর থেকে ১০ লাখ ৩ হাজার ২৮১ ও ময়মনসিংহ থেকে আসবে ২ লাখ ৯ হাজার ৩৪৪টি।


মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গত বছর পবিত্র ঈদুল আজহায় সারাদেশে ৯০ লাখ ৯৩ হাজার পশু কোরবানি হয়েছে। যার মধ্যে ৪০ লাখ ৫৩ হাজার ৬৭৯টি গরু-মহিষ, ৫০ লাখ ৩৮ হাজার ৮৪৮টি ছাগল-ভেড়া ও অন্যান্য ৭১৫টি গবাদিপশু কোরবানি হয়েছে।




অধিদফতরের তথ্য মতে, আসছে ঈদুল আজহায় দেশে কোরবানিযোগ্য মোট পশুর মধ্যে ৪৬ লাখ ১১ হাজার ৩৮৩টি গরু-মহিষ আর ৭৫ লাখ ১১ হাজার ৫৯৭টি ছাগল-ভেড়া রয়েছে। এছাড়া অন্যান্য পশু রয়েছে এক হাজার ৪০৯টি। এর মধ্যে হৃষ্টপুষ্টকৃত গবাদিপশুর সংখ্যা ৭৫ লাখ ৯০ হাজার ৬৪২টি আর গৃহপালিত পশুর সংখ্যা ৪৫ লাখ ৩৩ হাজার ৭৪৭টি।


এবার দেশের আট বিভাগের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ছাগল আছে রাজশাহীতে। এই বিভাগে ২৮ লাখ ২২ হাজার ৬৩৯টি কোরবানিযোগ্য ছাগল রয়েছে। এরপরই আছে রংপুর বিভাগ। কোরবানিযোগ্য পশুর মধ্যে এই বিভাগে ছাগল আছে ১০ লাখ ৬৬ হাজার ৫৯৯টি। এছাড়া খুলনায় নয় লাখ ৫৫ হাজার ৩০৩টি, চট্টগ্রামে পাঁচ লাখ ৮৭ হাজার ৪৯৬টি, ঢাকায় তিন লাখ ৮১ হাজার ৬১১টি, বরিশালে তিন লাখ ৭৫ হাজার ৭০০টি, ময়মনসিংহে তিন লাখ ২১ হাজার ৯৫৪টি এবং সিলেটে ৬২ হাজার ৬১৩টি কোরবানিযোগ্য ছাগল রয়েছে।


ছাগলের পাশাপাশি ভেড়ার সংখ্যাও বেশি রাজশাহী বিভাগে। এখানে চার লাখ ৮৫ হাজার ৯৮৭টি ভেড়া রয়েছে। সবমিলিয়ে শুধু রাজশাহীতেই কোরবানিযোগ্য ছাগল-ভেড়া আছে ৩৩ লাখ আট হাজার ৬২৬টি। এ ক্ষেত্রে ভেড়ায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে চট্টগ্রাম। এই বিভাগে কোরবানিযোগ্য ভেড়া আছে এক লাখ ৬৪ হাজার ৩০টি। এছাড়া রংপুরে এক লাখ ৪২ হাজার ৩৮১টি, ঢাকা বিভাগে ৫০ হাজার ১৬০টি, খুলনায় ৩৬ হাজার ৩৮টি, সিলেটে ২৯ হাজার ৯২৩টি, ময়মনসিংহে ১৯ হাজার ৪৯৩টি এবং বরিশালে ভেড়া আছে নয় হাজার ৬৭০টি।


এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৯ লাখ ৭৩ হাজার ৮৩৩টি গরু-মহিষ, ১২ লাখ ৬৫ হাজার ৫৬টি ছাগল-ভেড়া ও অন্যান্য ৩৬৩টিসহ মোট ২২ লাখ ৩৯ হাজার ২৫২টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ১০ লাখ ৭১ হাজার ২৩১টি গরু-মহিষ, ৮ লাখ ২৮ হাজার ৮৬টি ছাগল-ভেড়া ও অন্যান্য ২০১টিসহ মোট ১৮ লাখ ৯৯ হাজার ৫১৮টি, রাজশাহী বিভাগে ৬ লাখ ১৬ হাজার ৭৩৩টি গরু-মহিষ, ১২ লাখ ১৬ হাজার ২৮৩টি ছাগল-ভেড়া ও অন্যান্য ১২৯টিসহ মোট ১৮ লাখ ৩৩ হাজার ১৪৫টি।




এছাড়া, খুলনা বিভাগে ২ লাখ ৩৯ হাজার ১৪৭টি গরু-মহিষ, ৬ লাখ ১৮ হাজার ৪৪৩টি ছাগল-ভেড়া ও অন্যান্য ১১টিসহ মোট ৮ লাখ ৫৭ হাজার ৬০১টি, বরিশাল বিভাগে ২ লাখ ৬৬ হাজার ৬২১টি গরু-মহিষ, ১ লাখ ৯৫ হাজার ৩৫৮টি ছাগল-ভেড়াসহ মোট ৪ লাখ ৬১ হাজার ৯৭৯টি।



সিলেট বিভাগে ২ লাখ ৯ হাজার ৫৬৯টি গরু-মহিষ, ১ লাখ ৯৯ হাজার ৩৬৪টি ছাগল-ভেড়া ও অন্যান্য ৮টিসহ মোট ৪ লাখ ৮ হাজার ৯৪১টি, রংপুর বিভাগে ৪ লাখ ৯৬ হাজার ২২০টি গরু-মহিষ, ৫ লাখ ৪৮ হাজার ৬৩৯টি ছাগল-ভেড়াসহ মোট ১০ লাখ ৪৪ হাজার ৮৫৯টি এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ১ লাখ ৮০ হাজার ৩২৫টি গরু-মহিষ, ১ লাখ ৬৭ হাজার ৬১৯টি ছাগল-ভেড়া ও অন্যান্য তিনটিসহ মোট ৩ লাখ ৪৭ হাজার ৯৪৭টি গবাদিপশু কোরবানি হয়েছে।


মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, “কোরবানির জন্য পর্যাপ্ত পশু মজুত আছে, তাই এ বছরও কোরবানিতে বাইরের দেশ থেকে একটি পশুও আসবে না। আমাদের যে পরিমাণ পশু উৎপাদন হচ্ছে সেটি চাহিদা মিটিয়েও উদ্বৃত্ত থাকবে।”


প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহাজাদা বলেন, চলতি বছর কোরবানিযোগ্য পশু রয়েছে ১ কোটি ২১ লাখের বেশি, যা চাহিদার তুলনায় পর্যাপ্ত। ধারণা করছি গতবারের তুলনায় এবার কোরবানি বেশি হবে।



চলতি বছর ১ কোটি ২১ লাখ ২৪ হাজার ৩৮৯টি কোরবানিযোগ্য পশু রয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় ২ লাখ ৭ হাজার বেশি। দেশীয় পশুতে চাহিদা পূরণ হওয়ায় দেশের বাইরে থেকে গরু আনা বন্ধে কঠোর অবস্থানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।



Post Top Ad

Responsive Ads Here