![]() |
সালথায় ১৮ বছর পর প্রভাবশালীর দখল থেকে সরকারী হালট উদ্ধার | সময় সংবাদ |
সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি:
ফরিদপুর সালথা বাজারে ১৮ বছর ধরে সরকারী হালট দখল করে নির্মীত স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ অভিযান পরিচালনা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা: তাছলিমা আকতার।
শনিবার (৬ আগষ্ট) বিকাল ৫টা থেকে বিকাল ৬টা পর্যন্ত সালথা বাজারের হাইস্কুল রোড সংলগ্ন ৩৩নং দরজা পুরুড়া মৌজার সালথা বাজারের ৩৩নং দরজা-পুরুরা মৌজার হালট শ্রেণির ২৯ নম্বর দাগে স্থাপিত অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করা হয়। এ সময় সার্ভেয়ার, তহশিলদার, সালথা থানা পুলিশ সদস্য, স্থানী সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানায যায়, সালথা বাজারের ৩৩নং দরজা-পুরুরা মৌজার হালট শ্রেণির ২৯ নম্বর দাগের সম্পত্তি দখল করে স্থানীয় ভাওয়াল গ্রামের মৃত রহমান মুন্সির ছেলে জাফর মুন্সি দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিল। খবর পেয়ে তৎকালীন সালথার সাবেক ইউএনও মোহাম্মদ হাসিব সরকার উক্ত দোকান ঘর বন্ধ করে দেয়। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর জাফর মুন্সী পুনরায় নিজের ইচ্ছা মাফিক দোকান খুলে ভাড়া প্রদান করে। পূর্বে হালটটি ২০ ফুটের অধিক থাকলেও বর্মানে ৩/৪ ফুট আছে। পরবর্তী প্রশাসন উক্ত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করার উদ্যোগ নেয়।
স্থানীয় এলাকাবাসী বলেন, ১৫ থেকে ২০ বছর ধরে সরকারী হালট দখল করে দোকান ঘর দেওয়ায় আমাদের চলাফেরা খুবই কষ্ট কর হয়ে পড়েছিল। আমরা এলাকাবাসী প্রশাসনকে অনুরোধ জানিয়েছি সরকারী হালটটি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে পূর্নরায় হালটি চলাচল উপযোগী করার জন্য। একই সাথে হালটটি উদ্ধার করার জন্য আমরা সালথা উপজেলা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই।
এ বিষয়ে দোকানঘর নির্মাণকারী ঘর মালিক জাফর মুন্সী বলেন, এটা আমার ক্রয়কৃত সম্পত্তি। এখানে কিছু সরকারি ও কিছু মালিকানা সম্পত্তি রয়েছে। আমার দলিল ও পিট দলিল রয়েছে। আমি সালথার সাবেক ইউএনও সারের অনুমতি নিয়েই পুনরায় দোকান খুলেছি।
এ বিষয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা: তাছলিমা আকতার বলেন, ম্যাপ দেখে সার্ভেয়ার দ্বারা পরিমাপ করে ওই দেখা যায় সরকারী হালটের উপরে ঘর নির্মাণনের ফলে বাজার দিয়ে চলাফেরা করতে মানুষের খুব কষ্ট হয়। এলাকাবাসীর অভিযোগের পরিপেক্ষিতে প্রশাসন উক্ত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে। পর্যায়ক্রমে বেদখল হওয়া সব সরকারী জমি উদ্ধার করা হবে।