"হাত বেঁধে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে স্ত্রীকে নির্যাতন, কেটে দিলেন মাথার চুল | সময় সংবাদ"
দিনাজপুর প্রতিনিধি
দিনাজপুর বিরলে যৌতুকের কারণে এক সন্তানের জননীকে শারীরিক নির্যাতনের পর মাথার চুল কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বামী মজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে। বর্তমানে নির্যাতনের শিকার ওই নারী দিনাজপুর বিরল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এ ঘটনায় রোববার পুলিশ অভিযান চালিয়ে স্বামী মজিবুর রহমানসহ (৩৬) নির্যাতিতা নারীর শ্বশুর-শাশুড়িকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতার মজিবুর রহমান (৩৬) দিনাজপুরের বিরল উপজেলার কাজিপাড়ার বিলাইমারী গ্রামের হাসেম আলীর ছেলে।
নির্যাতনের শিকার ওই নারী জানান, গত শনিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে স্বামী ১ লাখ টাকা দাবি করেন। তা নিয়ে দুইজনের মধ্যে কথা-কাটিকাটি হয়। একপর্যায়ে শ্বশুর-শাশুড়ির আশকারায় স্বামী মজিবুর রহমান আমার হাত বেঁধে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন। আমার চরিত্র নিয়ে আজেবাজে মন্তব্য করেন এবং নানা অপবাদ দেন। এই কথার প্রতিবাদ করায় শ্বশুর-শাশুড়ির সহযোগিতায় মজিবুর আমার মাথার চুল কেটে দেন। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে অচেতন হয়ে পড়লে স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে রোববার বিরল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
ইউপি সদস্য মজিবুর রহমান মজিদ বলেন, গত এক বছর আগে স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়ার কারণে ওই নারী স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়ি গাইবান্ধায় চলে যান। গত দুই সপ্তাহ আগে তার স্বামী মজিবুর রহমান আর ঝগড়া করবে না ও যৌতুক দাবি করবে না এমন মুচলেকা দিয়ে তার স্ত্রীকে তার বাড়িতে নিয়ে আসেন। বাড়ি আসার পর ভালোই চলছিল তাদের সংসার। হঠাৎ গত শনিবার রাতে আবার স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া-মারামারিসহ মাথার চুল কাটার ঘটনা ঘটে।
দিনাজপুর বিরল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডা. মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, ওই নারীকে অসুস্থ অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এছাড়াও তার মাথার অর্ধাংশ চুল কেটে দেওয়া হয়েছে।
বিরল থানার ওসি ফখরুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনা শোনার পরপরই পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে নির্যাতিতা নারীর সঙ্গে কথা বলে তার স্বামী মজিবুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়াও নির্যাতিতার ভাষ্যমতে তার শ্বশুর ও শাশুড়িকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।