"ভাব জমিয়ে হাতিয়ে নিতো গোপন তথ্য, কৌশলে ফাঁকা করতো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট | সময় সংবাদ" |
নিজস্ব প্রতিবেদক
অনলাইন-অফলাইনে মাস্টার কার্ডধারী স্বচ্ছল ব্যক্তিদের সঙ্গে ভাব জমিয়ে গোপন তথ্য হাতিয়ে নেয়। এরপর মোবাইল ব্যাংকিং কর্মকর্তা পরিচয়ে সুকৌশলে ফাঁকা করে দেয় ভুক্তভোগীদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট। কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া সেই খোকন ব্যাপারী ওরফে জুনায়েদকে নারায়ণগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি।
সোমবার দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সংস্থাটির এলআইসি শাখার বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর।
তিনি জানান, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক পাস করা খোকন ব্যাপারী ওরফে জুনায়েদের ৫-৬ সদস্যের একটি দল আছে। টার্গেট করতো সমাজের স্বচ্ছল ব্যক্তিদের। অনলাইন-অফলাইনে ভাব জমিয়ে হাতিয়ে নিতো ব্যক্তিগত ও ব্যাংকিং তথ্য। ৫-৬ বছর ধরে খোকন মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিল। খোকন নিজেই এ চক্রের মূল হোতা। প্রতারণা করে এখন পর্যন্ত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে সে।
সিআইডি কর্মকর্তা মুক্তা ধর জানান, এ চক্রটি বিকাশ/নগদ/রকেটের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে আর্থিক লেনদেনের প্লাটফর্ম ব্যবহার করে সাধারণ মানুষের ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড থেকে প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়। প্রতারণার শিকার এক ব্যক্তির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সিআইডি অভিযান চালায়। এরই ধারাবাহিকতায় নারায়ণগঞ্জ থেকে খোকন ব্যাপারী ওরফে জুনায়েদকে ধরা হয়।
তিনি আরো জানান, খোকনের নেতৃত্বে প্রতারক চক্রটি ছয়টি ধাপে প্রতারণার কাজটি করত। ভুক্তভোগীর কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহের পর পরই তারা নিজেদের আইডেন্টিটি গোপন করে রাখে। খোকন এ পর্যন্ত তার সহযোগীদের নিয়ে এক কোটিরও বেশি টাকা আত্মসাৎ করেছে।
মুক্তা ধর আরো জানান, ইটস খোকন ব্রো, জিরো টু নামের বিভিন্ন ফেসবুক পেইজের মাধ্যমে টার্গেট ব্যক্তিদের সঙ্গে সুকৌশলে প্রতারণা করে আসছিল চক্রটি। এগুলোর মাধ্যমে বিভিন্ন ফেসবুক ব্যবহারকারীদের ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠিয়ে তার ফ্রেন্ড লিস্টে অন্তর্ভুক্ত করতেন। তারপর তাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থা বুঝে মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে টার্গেট করা ব্যক্তিদের সঙ্গে সে তার প্রতারণার কার্যক্রম শুরু করে। সে মূলত ডেবিট/ক্রেডিট কার্ডধারী ব্যক্তিদের তার শিকারে পরিণত করে।