জিয়াউর রহমান ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের অন্যতম কুশীলব: তথ্যমন্ত্রী | সময় সংবাদ - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

মঙ্গলবার, আগস্ট ০২, ২০২২

জিয়াউর রহমান ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের অন্যতম কুশীলব: তথ্যমন্ত্রী | সময় সংবাদ

 


নিজস্ব প্রতিবেদক


তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, যে দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক শক্তি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধাচারণ করেছিল, সেই দুই শক্তি একীভূত হয়ে ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। আর সেই হত্যাকাণ্ডের অন্যতম প্রধান কুশীলব ছিলেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান।

সোমবার বিকেলে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের নতুন রেল স্টেশনে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ভ্রাম্যমাণ রেল জাদুঘর’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। 



 

ভোলার সংঘর্ষের ঘটনাকে বিএনপির আগস্ট ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আগস্ট মাস এলেই নানামুখী ষড়যন্ত্রে সরব হয় বিএনপি ও স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি। এই আগস্ট মাসেই তারেক জিয়ার নেতৃত্বে এবং খালেদা জিয়ার জ্ঞাতসারে প্রকাশ্য দিবালোকে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যার অপচেষ্টা চালানো হয়।


তিনি বলেন, ১৭ আগস্ট সারাদেশে একযোগে পাঁচশ’ জায়গায় বোমা হামলা হয়েছে। আগস্ট মাস এলে বিএনপি নানামুখী ষড়যন্ত্র শুরু করে, এবারও তারা সারাদেশে নানামুখী ষড়যন্ত্র-নাশকতা করার পরিকল্পনা নিয়েছে। দেশকে উত্তপ্ত করার সেই পরিকল্পনারই অংশ হিসেবে ভোলায় তারা গণ্ডগোল করেছে।


ড. হাছান বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর জিয়াউর রহমানকেই সেনাবাহিনীর প্রধান নিয়োগ করেছিল খন্দকার মোস্তাক আহমেদ। এতে কি প্রমাণিত হয়? এতে প্রমাণিত হয় জিয়াউর রহমানই বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের অন্যতম প্রধান কুশীলব। ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ড শুধু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ড নয়, সেদিন প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে হত্যা করার লক্ষ্যেই বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল। কারণ এরপরই পাকিস্তানের সঙ্গে কনফেডারেশনে আমাদের জাতীয় সংগীত এবং জাতীয় পতাকা পরিবর্তনের অপচেষ্টাও হয়েছিল। ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডে আন্তর্জাতিক এবং দেশীয় শক্তি মদদ দিয়েছিল।


বঙ্গবন্ধু  হত্যাকাণ্ডে বিভিন্ন সাক্ষীর তথ্যের কথা উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সেখানে যারা জবানবন্দি দিয়েছেন, তারা জিয়াউর রহমান কোন অবস্থায় ছিল, খোন্দকার মোস্তাক কি অবস্থায় ছিল এগুলো বিস্তারিত বলেছেন।


তিনি বলেন, পাঁচশ’ বছর পরের প্রজন্মও যেন ইতিহাস সঠিকভাবে জানতে পারে সেজন্য একটি কমিশন গঠন করে জিয়াউর রহমানসহ যারা বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের কুশীলব ছিল তাদের মুখোশ উম্মোচন হওয়া প্রয়োজন।


বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে  স্বাগত বক্তব্য দেন- রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. ফারুক-উজ-জামান ও রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান যান্ত্রিক প্রকৌশলী বোরহান উদ্দিন।





Post Top Ad

Responsive Ads Here