টেন্ডার না পেয়ে নগই পিডিকে মারপিট করলো ঠিকাদারের লোকেরা - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

রবিবার, নভেম্বর ২৭, ২০২২

টেন্ডার না পেয়ে নগই পিডিকে মারপিট করলো ঠিকাদারের লোকেরা

 



ফরিদপুর প্রতিনিধি : 

ফরিদপুরের নদী গবেষণা ইন্সটিটিউটে (নগই) টেন্ডারে কাজ না পাওয়ায় ঠিকাদারের লোকজনদের হাতে বাম্বু বান্ডেলিংয়ের প্রকল্প পরিচালককে তার অফিস কক্ষে ঢুকে কিলঘুষি মেরে গুরুতর আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই নিউজ লেখা পর্যন্ত আহত ওই পিডির চিকিৎসকের পরামর্শে চিকিৎসা চলছে।


জানা গেছে, নগই এর বাস্তবায়নাধীন জামালপুরের বাম্বু বান্ডেলিংয়ের প্রকল্প পরিচালক (পিডি) আব্দুল্লাহ আল ইমরানের অফিস কক্ষে রবিবার দুপুরের দিকে এ ঘটনা ঘটে। 



আর এ ঘটনায় ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। 



এছাড়াও হামলার স্বীকার হওয়া নদী গবেষণার প্রকল্প পরিচালকের পক্ষ থেকে ফরিদপুরের পুলিশ সুপারসহ সরকারের উচ্চ মহল গুলোতে ঘটনার বিস্তারিত লিখে অভিযোগ জানানো হয়েছে।


থানায় লিখিত অভিযোগে বলা হয়, বেলা পৌনে ১২টার দিকে তিনি অফিস কক্ষে দাপ্তরিক কাজ করছিলেন। এসময়ে হাড়কান্দি মহল্লার মোঃ নিয়াজ শেখ ও কাজল মৃধা নামে দুই যুবক তার কক্ষে ঢুকে দরজার ছিটকিনি আটকে তার কাছে জামানতের টাকা ফেরত চায় এবং বাম্বু বান্ডেলিংয়ের টেন্ডারের সময় তাকে কেনো অফিস কক্ষে পাওয়া যায়নি বলেই তাকে কিল-ঘুষি মারতে থাকে। এতে তার শ্বাসকষ্ট শুরু হয় এবং তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এসময় সহকর্মীরা এসে দরজা ধাক্কাধাক্কি করলে তারা ছিটকিনি খুলে দেয় এবং তাদের সামনেই আবারও মারতে থাকে। একপর্যায়ে তারা পালিয়ে যায়। 



হামলার শিকার হওয়া ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল্লাহ আল ইমরান বলেন, তারা বাম্বু বান্ডেলিংয়ের কাজ কেনো তাদের দেয়া হয়নি একথা বলে তাকে হুমকি দিতে থাকে। তিনি বলেন, ওই কাজের টেন্ডারের ওপেনিং হয়েছে ১০ তারিখে। এখনো কেউ কাজ কেউ পায়নি। টেন্ডারের ইভ্যালুয়েশনের কাজ চলছে। এব্যাপারে তিনি পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিবকে বিষয়টি জানিয়েছেন এবং পুলিশ সুপারকে অনুলিপি দিয়েছেন। এদিকে ঘটনার সাথে জড়িত নিয়াজি ও কাজল ফরিদপুর পৌরসভার ১৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আতিয়ার রহমানের কাজ দেখাশুনা করেন বলে জানান।



এব্যাপারে জানতে কাউন্সিলর আতিয়ার রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি নদী গবেষণায় টুকটাক কাজ করি। তবে তারা আমার লোক না। তবে কাউন্সিলর হিসেবে এলাকার সকলেইতো আমার লোক বলেও তিনি জানান। ঘটনা কি হয়েছিলো জানতে চাইলে তিনি বলেন, পুলাপান অফিসে গিয়েছিল৷ সেখানে সামান্য ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। তবে এব্যাপারে নিয়াজ শেখ ও কাজল মৃধার বক্তব্য জানা যায়নি।



এদিকে এব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেয়ে ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানার এসআই সাকরাতুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনা তদন্তে যায়। 


কোতোয়ালি থানার ওসি তদন্ত মোঃ আব্দুল গাফফার জানান, এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনা তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।


Post Top Ad

Responsive Ads Here