চলতি মৌসুমে নানা ফসলের চাষাবাদ করেছে চারঘাটের কৃষক | সময় সংবাদ - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২৪, ২০২২

চলতি মৌসুমে নানা ফসলের চাষাবাদ করেছে চারঘাটের কৃষক | সময় সংবাদ

 

চলতি মৌসুমে নানা ফসলের চাষাবাদ করেছে চারঘাটের কৃষক | সময় সংবাদ

ওবায়দুল ইসলাম রবি, রাজশাহী:

কৃষি নির্ভরশীল দেশে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা ফসলি মাঠে নানা মৌসুমী ফসল চাষাবাদ করেছেন স্থানীয় কৃৃষাণ কৃষানীরা। ১২ হাজার ৮শত ৪৯ হেক্টর জমিতে ৫২ হাজার কৃষক তাদের জমিতে গম, ভুট্টা, মসুর, সরিষা, পেয়াজ, রসুন, মটর, আলুু, মরিচ, ধনিয়াসহ বিভিন্ন ধরনের সাকসবজি চাষবাদ করছেন। 


চারঘাটের ০১টি পৌরসভা, ৯টি ইউনিয়ন ও পদ্মার চরে কৃষকের সেনালী ফসল গুলো সবুজের রঙ নিয়েছে। সরকারী প্রণোদনা ও কৃষকের নিজ প্রচেষ্টায় প্রত্যেক মৌসুমে দেশের মানুষের খাবারের চাহিদা মিটিয়ে থাকে কৃষক। কৃষক বাচঁলে দেশ বাচঁবে এই চিরন্ত্রন স্লোগানটি মাটি ও মানুষের অটুট বন্ধনের স্বাক্ষ্য দিচ্ছে। 


চারঘাট উপজেলা কৃষিদপ্তর তথ্যমতে এবারের মৌসুমে গমের লক্ষ্যমাত্রা ৪ হাজার ৩ শত ৫৫ হেক্টর, মসুর ২ হাজার ১শত ৫৯ হেক্টর, রসুন ৬৭৪ হেঃ, পেয়াজ ১ হাজার ৪ শত ৯০ হেঃ, খেসারী ২৯০ হেঃ, মটর ২৩৫ হেঃ,  সরিষা ৩৯১ হেক্টরের বেশি হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। অপরদিকে ভুট্টার লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ৭শত ২০ হেক্টর, আলু ২১০ হেঃ এবং ধনিয়া ৫ হেক্টর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।   


উপজেলার বিভিন্ন প্রান্তের কৃষকদের সাথে কথা বলে জানাযায়, জীবন-জীবিকার তাগিদের কারনে তারা কৃষি কাজ করছেন। বর্তমান যেহারে খনিজ তেল, সার ও বালায়নাশকসহ কৃষি নিত্য প্রয়োজনিয় দ্রব্যাদির মূল্য উধ্ধগামী। যা ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষীদের ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে। উপজেলার প্রায় ৫২ হাজার কৃষকের ম্যধ্যে অধিকাংশ কৃষক বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে তাদের সম্ভাব্য জমিতে চাষাবাদ করছেন। ফলন শেষে কখনও কখনও তারা ঋণ থেকে মুক্ত হতে পারছেন না। 

পরিবারের ভরণপোষণ ও লিখাপড়ার চাহিদা মেটাতে কৃষকদের নানা মূখী সমস্যাই পড়তে হচ্ছে। সর্বপরি সরকারী প্রণোদনা দিয়ে এক উপজেলার কৃষকদের চাহিদা পূরণ হচ্ছে না। চারঘাট উপজেলায় ৫২ হাজার কৃষকদের মাধ্যে ৩ হাজার কৃষক প্রণোদনা হাতে পেয়েছে। যা থেকে সকলের চাহিদা মেটাতে সক্ষমতা হারিয়ে ফেলছে কৃষি দপ্তরের।       


কৃষকদের সর্বাত্মাক সহযোগিতা করার লক্ষে উপজেলা কৃষি দপ্তর কাজ করে যাচ্ছে। হাতে কলমে এবং মাঠ পর্যায়ে প্রশিক্ষন কর্মসূচী চলমান রয়েছে। বিভিন্ন মৌসুমে ভালো মানের ফসল চাষাবাদের জন্য পরিমান মতো বীজ ও সার সরবরাহের ব্যবস্থা করছে কৃষি দপ্তর। সরকারী প্রণোদনা নিয়ে কিছু অযৌত্তিক প্রশ্নের গুঞ্জন শুনাগেলেও তার প্রতিকার বা সমাধানের প্রচেষ্টা করা হয়। স্থানীয় কৃষকের সংখ্যার চেয়ে অপ্রতুল্য প্রণোদনা দিয়ে কৃষকের চাহিদা মেটানো সম্ভব না। সরকারী বরাদ্দকৃত প্রণোদনা থেকে উপজেলার ক্ষৃদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে সার ও বীজ বিতরণ করা হয় বলে জানান, কৃষি কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার।


Post Top Ad

Responsive Ads Here