কোম্পানীগঞ্জে ইউপি সচিবের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের জন্ম সনদ দেয়ার অভিযোগ | সময় সংবাদ |
আবু সাঈদ শাকিল,নোয়াখালী প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরকাঁকড়া ইউনিয়নের সচিব ও বিএনপির নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন শাহেদের বিরুদ্ধে ৪জন রোহিঙ্গাকে ভুয়া জন্ম সনদ বানিয়ে দাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
রাষ্ট্রীয় আইন লংঘন করে রাষ্ট্রদ্রোহিতা মূলক কাজের অভিযোগে বৃহস্পতিবার ওই ইউনিয়নের আবু সুফিয়ান নামের এক ব্যাক্তি জন্ম সনদ দেয়ার বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কমকর্তার বরাবরে অভিযোগপত্র জমা দেয়।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, চরকাঁকড়া ইউনিয়ন সচিব মোয়াজ্জেম হোসেন শাহেদ জন্ম সনদ প্রস্তুতে নিয়ম-কানুন না মেনে দালালের মাধ্যমে ছড়া অর্থের বিনিময়ে জন্মসনদ প্রস্তুত ও সরবরাহ করে থাকে। রোহিঙ্গা নাগরিকদের দেয়া এধরনের ৪টি জন্ম সনদ দিয়ে ৪ রোহিঙ্গা নাগরিক পার্শ্ববর্তী কবিরহাট উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নে ভোটার হতে গিয়ে বিষয়টি প্রকাশ পায়।
ইউপি সচিব স্বাক্ষরিত জন্ম সনদগুলো হলো, মোঃ ছামিরা আক্তার (১৯৯৭৭৫১২১৩৫১৪০৭৪৩), মোছাঃ মাহমুদা বেগম(১৯৯৭৭৫১২১৩৫১৪০৭৪৭), শেম্পা রানী দাস (১৯৯৭৭৫১২১৩৫১৪০৭৪৬) এবং মোসাঃরিমাআক্তার (১৯৯৭৭৫১২১৩৫১৪০৭৪২)। তবে এ সনদগুলোতে ইউপি চেয়ারম্যানের কোন স্বাক্ষর ছিল না।
এই বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেজবা উল আলম ভূঁইয়া কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, উপজেলা পশু সম্পদ কর্মকর্তা, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, উপজেলা মৎস কর্মকর্তাকে নিয়ে তিন সদস্যর কমিটি গঠন করা হয়েছে। এদেরকে দুই কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন ফেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এই বিষয়ে চরকাঁকড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হানিফ সবুজ জানান, আমার অসুস্থতার সুযোগে সচিব মোজাম্মেল হোসেন অর্থের বিনিময়ে চার রোহিঙ্গাকে সনদ প্রধান করে। এ বিষয়ে আমি অবগত হওয়ার পর সচিবের বিরুদ্ধে কোম্পানীগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি সচিব মোয়াজ্জেম হোসেন শাহেদ বলেন, চরকাঁকড়া ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান হানিফ সবুজের বাড়ির পাশে আবুল হাফেজ বাড়ির হারুন ঠিকাদারের ছেলে ছিদ্দিক এ জন্ম সনদগুলো করে নিয়েছে। সিদ্দিক তাকে ঢাকায় পাসপোর্ট অফিসে চাকরি করে বলে পরিচয় দেয়।
উল্লেখ, ভুয়া জন্ম সনদ নিয়ে কবিরহাট উপজেলার ধানশালিক ইউনিয়নে ভোটার হতে গিয়ে বিষয়টি প্রকাশ পায়।