কুয়াকাটায় সমুদ্র সৈকতে বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে হাজারো পর্যটকের ভীড় |
কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি:
কুয়াকাটায় সমুদ্র সৈকতে ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসের আনন্দ উপভোগ করতে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, সূর্যোদয়-সূর্যাস্তের লীলাভূমি পর্যটকদের পদভারে মুখরিত। কুয়াকাটার অপরূপ সৌন্দর্যমন্ডিত প্রাকৃতিক-নৈসর্গিক শোভার প্রানবন্ত ছোয়া পেতে ভ্রমণ পিপাসু হাজারো পর্যটক কুয়াকাটায়।
এবছর সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত এবং সাপ্তাহিক সরকারী ছুটি দু‘দিন হওয়ায় ব্যাপক পর্যটকদের আগমন ঘটেছে মনে করছে টুরিষ্ট পুলিশসহ স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। সাবমেরিন ল্যান্ডিং ষ্টেশন, তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র, পায়রা বন্দরে দর্শনার্থীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত। পর্যটকদের নিরাপত্তায় সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে সরেজমিনে ঘুওে দেখা যায়, ডিসেম্বরের ১৪ ও ১৫ তারিখ থেকেই পর্যটকরা কুয়াকাটায় আসতে শুরু করে। সমুদ্র সৈকতে দাড়িয়ে সূর্যোদয়-সূর্যাস্ত অবলোকনের পর পর্যটকরা ছুটে যান রাখাইনদের আদি কুয়া অথবা রাখাইন পল্লিতে। কুয়াকাটার জিরো পয়েন্ট সংলগ্ন রয়েছে নজরকাড়া প্যাগোডা। এই প্যাগোডা তথা শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধবিহার সংলগ্ন বেড়িবাঁধের পাশে রয়েছে দু‘শ বছরের প্রাচীনতম নৌকা। রাখাইন মহিলা মার্কেট, মিশ্রিপাড়ায় অবস্থিত এশিয়ার সর্ববৃহৎ সীমা বৈদ্ধ বিহার। ইকোপার্ক, লেম্বুরচর, শুটকিপল্লি সহ বিভিন্ন আকর্ষণীয় স্থান। পর্যটকদের বাড়তি বিনোদনে প্রস্তুত ছিল নৌ-তরি। কেউ বিচে ছাতার নিচে বসে সাগরের জল আর সূর্য রশ্নির রঙ্গিন খেলায় মেতে উঠা অপরূপ দৃশ্য অবলোকন করে। ৩০ কিঃ মিঃ দীর্ঘ সৈকতের গাঁ ঘেষে গঙ্গামতির সংরক্ষিত বনাঞ্চল, দক্ষিনে দৃষ্টিসীমা যতদুর যায় শুধু নীল সাগরের জলরাশি অন্যদিকে দিগন্তজুড়ে লালিমা আকাশের গায়ে আবির মাখানো দৃশ্য পর্যটকদের অন্তরাতœাকে প্লাবিত করে দিচ্ছে। ঘোড়ার পিঠে চড়া আনন্দ উল্লাস করে থাকের আগত পর্যটরা।
খুলনা থেকে ঘুড়তে আসা সাজ্জাদ হোসেন জানান, একই স্থানে দাড়িয়ে সূর্যোদয় আর সূর্যাস্ত উপভোগ করার দৃশ্য একমাত্র কুয়াকাটায় যা সত্যিই আনন্দ দায়ক।
কুয়াকাটার আবাসিক হোটেল সমুদ্র বাড়ি রিসোর্টের পরিচালক জহিরুল ইসলাম বলেন, ১৬ডিসেম্বর উপলক্ষে আমাদের হোটেলের সকল রুম বুকিং আছে এবং অন্যান্য হোটেলেও বেশ পর্যটক রয়েছে। শুধু তাই নয় বড় দিন তথা থার্টি ফাস্ট নাইট উপলক্ষে হোটেলের রুম অগ্রিম বুকিং রয়েছে।
কুয়াকাটা টুরিষ্ট পুলিশের জোনাল পরিদর্শক হাসনাইন পারভেজ বলেন, আমরা সর্বদা নিরাপত্তায় নিয়োজিত আছি। এছাড়াও কুয়াকাটার বিভিন্ন র্স্পটগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।