দুটি জাতীয় দল হবে পাকিস্তানের |
ক্রিকেট বিশ্ব/সময় সংবাদ:
ইদানিং একই দেশের দুটি জাতীয় দলের ধারণা বেশ জনপ্রিয়। ইংল্যান্ড, ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের মতো শক্তিশালী দলগুলো প্রায় একই সময়ে আলাদা ভেন্যুতে খেলতে ও বেঞ্চের শক্তি পরীক্ষা করতে দুটি করে জাতীয় দল প্রস্তুত রাখছে। যে ধারণা এখন বাকি ক্রিকেট খেলুড়ে দেশগুলোর মধ্যেও ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে।
প্রায় সমশক্তির দল হলেও এই ক্ষেত্রে ভারত, ইংল্যান্ড কিংবা অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে বেশ পিছিয়ে পাকিস্তান। দলটির ইতিহাসে একসঙ্গে দুই দল প্রস্তুত রাখার ঘটনা কখনোই ঘটেনি। তবে আধুনিক ক্রিকেটে নিজেদের তুলে ধরতে এবার নড়েচড়ে বসেছে পাকিস্তানের ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।
সম্প্রতি পিসিবি তাদের ব্যবস্থাপনার দলটিকে নতুন করে সাজিয়েছে। বোর্ড সভাপতির দায়িত্ব নিয়েছেন নাজাম শেঠি। অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান নির্বাচকের দায়িত্ব পেয়েছেন শহীদ আফ্রিদি। দায়িত্বে আসার পর থেকেই এই জুটি নতুন করে সাজাচ্ছেন পাকিস্তান দলকে। এবার নতুন কিছুর দিকে এগোতে চাচ্ছেন সাবেক এ ক্রিকেটার।
দায়িত্বের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই পাকিস্তানের দুটি ‘জাতীয় দল’ গড়ে তোলার লক্ষ্য আফ্রিদির। এ প্রসঙ্গে তিনি স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘বেঞ্চের শক্তি বাড়ানোর লক্ষ্যে আমার এই দায়িত্বকালের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই পাকিস্তানের দুটি জাতীয় দল তৈরি করতে চাই।’
লক্ষ্য অর্জনে এরই মধ্যে কাজে লেগেও পড়েছেন আফ্রিদি। বোর্ড সভাপতি নাজাম শেঠির কাছ থেকে দায়িত্ব পেয়ে জাতীয় দলে ক্রিকেটারের সংখ্যা বাড়ানোর কাজে লেগে পড়েছেন আফ্রিদি। আপাতত ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ড সিরিজের দল সাজাতে ব্যস্ত আফ্রিদির নেতৃত্বাধীন নির্বাচক প্যানেল।
দলের মধ্যে অভ্যন্তরীণ সমস্যাও নাকি ধরতে পেরেছেন বলে দাবি সাবেক এ ক্রিকেটারের। নির্বাচকদের সঙ্গে খেলোয়াড়দের দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছিল বলে মনে হয়েছে আফ্রিদির, ‘আমার মনে হয়, অতীতে সবার মধ্যে যোগাযোগের ঘাটতি ছিল।’
তিনি আরো বলেন, ‘সব ক্রিকেটারকে আলাদাভাবে ডেকে নিয়ে কথা বলে বিষয়টি বুঝতে পেরেছি আমি। যেমন হারিস (সোহেল) ও ফাখরের (জামান) সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে কথা বলেছি। ওদের ফিটনেস টেস্ট নিয়েছি। আমি বিশ্বাস করি, ক্রিকেটার ও নির্বাচক কমিটির মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ থাকা উচিত।’