ট্রাক বিক্রির কথা বলে দুলাভাইকে ছুরিকাঘাত: শ্যালকসহ তিন বন্ধু আটক |
আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি:
বগুড়ার আদমদীঘিতে পারিবারিক দ্বন্দ্বের জের ধরে ফারুক হোসেন (৪৫) নামে সৌদি প্রবাস ফেরত দুলাভাইকে ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটেছে। ট্রাক বিক্রির কথা বলে ডেকে নিয়ে গিয়ে শ্যালকসহ তিন কিশোর বন্ধু ছুরিকাঘাত করেছে দুলাভাইকে। পালানোর সময় জনতা ওই তিন বন্ধুকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে সোপর্দ করেছে।
বুধবার ২২ নভেম্বর সন্ধ্যায় উপজেলার নশরৎপুর ইউপির ডুমিরিয়া গ্রামের আয়েরপুকুর এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। আহত ফারুক ডহরপুর এলাকার আমজাদ হোসেনের ছেলে।
আটক তিন কিশোর বন্ধু হলেন, ফারুকের শ্যালক একই এলাকার মুকুলের ছেলে নাফিউল ইসলাম (১৫) ও তার দুই বন্ধু কুন্দগ্রাম ইউপির তিলচ কাটনার পাড়ার মুক্তারের ছেলে আতিকুল ইসলাম (১৬) এবং একই ইউপির জয়দেবপুর এলাকার আনোয়ারের ছেলে পারভেজ (১৬)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নাফিউল ইসলাম এবং ফারুক হোসেন শালা-দুলাভাই। সৌদি আরব থেকে ছুটিতে আসা ফারুক হোসেন একটি ট্রাক কেনার জন্য খোঁজ করছিল। এরই মধ্যে ফারুকের পারিবারিক কলহের ঘটনা ঘটে। ফারুক তার স্ত্রীকে মারপিট করলে পরিবারের মধ্যে একটি দ্ব›দ্ব হয়। আর এই সুযোগটি নেয় নাফিউল ইসলাম। ঘটনাটি নাফিউল জানতে পেরে তাকে মারার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা মাফিক নাফিউল তার আরও দুই বন্ধুকে ঘটনাটি জানায়। এরপর তাদের পরিকল্পনামাফিক দুলাভাই ফারুক হোসেনকে ট্রাক বিক্রির কথা বলে ডেকে প্রথমে আদমদীঘির মুরইল বাজারে নিয়ে যায়। সেখান থেকে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ওই তিন কিশোর বন্ধু মোটরসাইকেল যোগে ফারুক হোসেনকে ট্রাক দেখানোর কথা বলে নসরতপুর ইউপির ডুমুরীগ্রাম বটতলা নামক স্থানে নিয়ে যায়। ডেকে নিয়ে যাওয়ার পর তারা অতর্কিত হামলা চালিয়ে ছুরিকাঘাত করে। ফারুক হোসেনের চিৎকারে স্থানীয় জনগণ এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে আদমদীঘি উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে পাঠায়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তার করা হয়।
বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন আছেন ফারুক হোসেন। এছাড়া জনতা ওই তিন কিশোর বন্ধুকে গনধোলাই দিয়ে আটক করে রাখে। পুলিশ খবর পেয়ে তাদেরকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এসময় তাদের ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেলটি জব্দ করেন।
আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ রেজাউল করিম রেজা বলেন, এটা একটা পারিবারিক ঘটনা। আটক নাফিউল ইসলামের বোনের স্বামী ফারুক হোসেন। দুলাভাই ও বোনের মধ্যে পারিবারিক কলহ হয়। বিষয়টি শালা নাফিউল জানতে পেয়ে তার বন্ধুদের সহযোগীতায় এই ঘটনা ঘটায়। তবে তাদেরকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এ ঘটনায় আইগত কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।