আগুন কেড়ে নিলো বিধবা প্রতিবন্ধির মাথা গোঁজার ঠাই |
আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি:
আগুন কেড়ে নিলো প্রতিবন্ধি বিধবা মনোয়ারা বেগমের (৬৫) মাথা গোঁজার ঠাই। অল্পের জন্য রক্ষা পেল তিনটি জীবন। ঘটনা ঘটেছে বৃহস্পতিবার ভোররাতে আমতলী পৌর শহরের ৯ নং ওয়ার্ডের বাঁশতলা গ্রামে।
জানাগেছে, আমতলী পৌর শহরের ৯ নং ওয়ার্ডের বাঁশতলা গ্রামের মৃত্যু পনু আকনের শারীরিক প্রতিবন্ধি বিধবা স্ত্রী মনোয়ারা বেগম দুই নাতনি মিম ও ফারজানাকে নিয়ে একটি টিন সেডের ঘরে বসবাস করে আসছে। বৃহস্পতিবার রাতে ওই ঘরে তারা ঘুমিয়ে ছিল। বিদ্যুতের সট সার্কিট থেকে ওই রাতে আগুনের সুত্রপাত হয়। মুহুর্তের মধ্যে আগুন ঘরে ছড়িয়ে পরে। আগুনের তাপ পেয়ে বিধবা মনোয়ারা, শিশু মীম ও ফারজানা ঘুম থেকে জেগে ডাক চিৎকার দেয়। পরে স্থানীয় লোকজন এসে তাদের উদ্ধার করে। পরে আমতলী ফায়ার সার্ভিস কর্মী ও স্থানীয়রা ঘন্টাখানেক চেষ্ঠা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। কিন্তু ততক্ষনে বিধবার ঘরটি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিধবাকে আর্থিক সহায়তা ও মুজিব বর্ষের আশ্রায়নের ঘর দেয়ার আশ্বাস দেন।
বিধবা মনোয়ারা বেগম কান্নাজনিত কন্ঠে বলেন, মোর সব শ্যাল অইয়্যা গ্যাছে। ব্যাডার আলহে একটু ঘর হেডাও পুইর্যা গ্যাছে। মুই এ্যাহন কোম্মে থাকমু। ম্যানে না উডাইলে মুই ও মোর দুই নাতনি পুইর্যা মইর্যা যাইতাম।
আমতলী পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর পৌর আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক জিএম মুছা বলেন, বিধবা মনোয়ারা বেগমের আর কিছুই রইলো না। তার স্বামীর শেষ সম্বল মাথা গোজার ঠাঁইটুকু আগুনে পুড়ে গেছে। তিনি আরো বলেন, বিধবা মনোয়ারাকে মুজিব বর্ষের একটি ঘর দিলে শেষ জীবনে ভালোভাবে কাটাতে পারবে।
আমতলী ফায়ার সার্ভিসের ষ্টেশন ম্যানেজার মোঃ শাহাদাত হোসেন বলেন, ধারনা করা হচ্ছে বিদ্যুতের সট সার্কিট থেকে আগুনের সুত্রপাত হয়েছে।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ওই বিধবা নারীকে আর্থিক সহায়তা করা হবে। তিনি আরো বলেন, ওই বিধবা প্রকৃত ভুমিহীন হওয়ার তাকে মুজিব বর্ষের আশ্রায়ণ প্রকল্পের ঘর দেয়া হবে।