রিক্সা বিক্রি করে দেওয়ায় পরিবারে অশান্তি, মাদক সেবন,শেষে আত্মহত্যা |
আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি:
একদিকে নিজের মাদক সেবনের জন্য অন্যদিকে পরিবারের চাহিদা মিটাতে টাকা উপার্জন করতে হিমশিম খেতে হতো তাকে। যার কারণে মাঝে মাঝেই অর্থনৈতিক সংকটে পড়তো সে। ফলে পরিবারে লেগেই থাকতো অশান্তি। আর উপায় না পেয়ে অবশেষে কীটনাশক পানে আত্মহত্যা। এমই এক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে বগুড়ার আদমদীঘিতে।
গত মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১১ টার দিকে উপজেলার চাঁপাপুর ইউপির কাঞ্চনপুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে খলিলুর রহমান (৩৫) এক শারীরিক প্রতিবন্ধী অটোরিক্সা চালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। মৃত খলিলুর রহমান ওই এলাকার মৃত মনির উদ্দিন ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা বলেন, মৃত খলিলুর রহমান শারীরিক প্রতিবন্ধী হওয়ায় পরিবার তাকে অটোরিক্সা কিনে দেয় পরিবারের ভরনপোষনের জন্য। কিন্তু খলিলুর নিয়মিত মাদক সেবন করতো। আর এই নেশার জন্য সে নিজের চাহিদা পূরণ করে পরিবারের চাহিদা ঠিকমতো পূরণ করতে পারতো না। যার কারণে নিজের মাদক সেবনের জন্য ও পরিবারের যোগান দিতে পড়ে যায় অর্থনৈতিক সংকটে। ফলে একদিন তার অটোরিক্সাও বিক্রি করে দেয় খলিলুর রহমান। এ নিয়ে পরিবারের সাথে কথা কাটাকাটি হলে খলিলুর কর্মের জন্য ঢাকায় চলে যায়। কিছুদিন ঢাকাতে থেকে আবার বাড়ি ফিরে আগের মতোই নেশা করতে থাকে। এদিকে তার পরিবারে স্ত্রীসহ তিন মেয়ে ও এক ছেলে থাকার কারণে পরিবারে অভাব অনটন লেগেই থাকতো। এ নিয়ে পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে অভিমান করে কীটনাশক ট্যাবলেট খেয়ে খলিলুর আত্মহত্যা করে।
এ বিষয়ে আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ রেজাউল করিম রেজা বলেন, মৃত ব্যাক্তি শারীরিক প্রতিবন্ধী ছিল দেখে তার পরিবার তাকে একটি অটো রিক্সা কিনে দেয়। সে ওই অটো রিক্সা বিক্রয়ের টাকা দিয়ে নেশা করে। এ নিয়ে তার পরিবারের সদস্যদের সাথে বেশ কিছুদিন ধরে তার তর্ক বিতর্ক চলছিল। এর জের ধরে অভিমান করে কীটনাশক ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করে। পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে আদমদীঘি থানায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।