বরগুনা-১: অবসরপ্রাপ্ত সচিব ড. মিহির কান্তি মজুমদারের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ |
আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি:
বরগুনা -১ (আমতলী-তালতলী-বরগুনা সদর) আসন থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব ড. মিহির কান্তি মজুমদার। আমতলী-তালতলীর গণ মানুষের ভালোবাসা টানে তার এ মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করা।
জানাগেছে, পিরোজপুর জেলার সদর উপজেলার জুজখোলা গ্রামের শ্রীকান্ত মজুমদারের ছেলে মিহির কান্তি মজুমদার ১৯৮১ সালে বিসিএস কর্মকর্তা হিসেবে চাকুরী পান। ১৯৮৬ সালের নভেম্বর মাসে আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে যোগদান করেন। যোগদানের শুরু থেকে তিনি উপজেলার সাধারণ মানুষের সুখ-দুঃখে পাশে দিলেন।
দুই বছর তিনি সৎ, ন্যায় নিষ্ঠা ও দক্ষতার সহিদ দায়িত্ব পালন করেছেন। এতে তিনি গণমানুষের হৃদয়ের মনি কোঠায় স্থান করে নেন। দলমত নির্বিশেষে সকল মানুষের আস্থাভাজন ছিলেন তিনি। সুচারুভাবে দুই বছর দায়িত্ব পালন শেষে ১৯৮৮ সালে ৩ নভেম্বর তিনি বদলীজনিত কারনে আমতলী ত্যাগ করেন। ওই সময় ৩৩ টি প্রতিষ্ঠান তাকে সংবর্ধনা দেন। বিদায় কালে তাকে মোটর সাইকেল শোভাযাত্রার মাধ্যমে অশ্রু সিক্ত নয়নে হাজারো মানুষ বিদায় জানায়। ওই সময় থেকেই তার সঙ্গে আমতলী-তালতলী মানুষের সঙ্গে গভীর মিতালী। উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে বিদায় নিয়ে তিনি খ্যান্ত হয়নি।
ভালোবাসার টানে ২০১৫ সালে তালতলীর কবিরাজপাড়া গ্রামে ড.এমকে মজুমদার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। গড়ে তোলেন ট্যাংরাগিরি ইকোপার্ক ও স্টাউট সেন্টার। সচিব হিসেবে সরকারের গুরুত্বপুর্ণ মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব পালন করেন। অবসর শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাকালিন চেয়ারম্যান নিযুক্ত করেন। ওইখানেও তিনি দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। আমতলী-তালতলীর গণ মানুষের ভালোবাসার টানেই তিনি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরগুনা-১ আসন থেকে আওয়ামীলীগ দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন।
উল্লেখ্য বরগুনা- (আমতলী-তালতলী-বরগুনা সদর) আসন থেকে মনোনয়ন পেতে ২২ জন আওয়ামীলীগ মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। তার মধ্যে সরকারের অবসরপ্রাপ্ত গুরুত্বপুর্ণ আমলা হিসেবে তিনি অন্যতম।
ড. মিহির কান্তি মজুমদার বলেন, আমতলী-তালতলী-বরগুনার গণ মানুষ প্রতি আমার গভীর সম্পর্ক রয়েছে। ওই সম্পর্কের টানেই তারা আমার জন্য আওয়ামীলীগ দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত নিবেন, সেই সিদ্ধান্ত মেনেই গুরু দায়িত্ব পালন কবরো।