ভোলায় পারাপারের রাস্তা বন্ধ করে চাঁদা দাবি: সংবাদ সম্মেলন ইজারাদারের
ভোলা প্রতিনিধি:
ভোলা সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের তুলাতুলি ও দৌলতখান উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নের সাথে সংযোগকারী, খেয়া পারাপারের জন্য মদনপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান এ.কে.এম নাছির উদ্দিন নান্নু মোটা অংকের চাঁদা দাবির অভিযোগ করেন। চাঁদা দাবির প্রতিবাদ করে সংবাদ সম্মেলন করেন উক্ত ঘাটের ইজারাদার।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে স্থানীয় একটি পত্রিকা অফিসে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী ইজারাদার অভিযোগ করে বলেন, আমরা অতি নিরুপায় হইয়া আপনাদের কার্যালয়ে হাজির হইয়া এই মর্মে সংবাদ সম্মেলন করছি। আমরা ধনিয়া তুলাতলি থেকে মদনপুর পাটোয়ারী বাজার রাস্তার মাথায় খেয়া পারাপারের ইজারাদার। ২০২১ইং সাল থেকে ভোলা জেলা প্রশাসক এর নিকট থেকে উল্লেখিত খেয়াঘাটটি ইজারা নিয়ে যাত্রী পারাপার করে আসছি। বর্তমান মদনপুর রাস্তার মাথা থেকে খেয়া পারাপারের জন্য যাত্রী আসার রাস্তায় গাছ ফেলে রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এ.কে.এম নাছির উদ্দিন নান্নু ও তার লালিত ক্যাডার নান্নু বাহিনীর প্রধান ভুট্টু মাঝি, হারুন মাঝি, রহিম মাঝি, রুহুল আমিন, শামিম, মহিউদ্দিন, বাগন আলী, লোকমান, কবির, রহিম ও বর্তমান ইউপি সদস্য ফারুক দৌলত।
তারা আরো বলেন, মদনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এ.কে.এম নান্নুর নির্দেশে তার ছেলে আরিফ এর নেত্রীত্বে উক্ত সন্ত্রাসীরা আমাদের কাছ থেকে মোটা অংকের চাঁদা দাবী করেন। আমরা চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানাইলে তাহারা আমাদের খেয়া পারাপারে বাধা প্রদান করেন। খেয়াঘাট আসার রাস্তাটি বন্ধ করে দিয়ে রাস্তার উপরে গাছ ফেলে রাস্তাটি বন্ধ করে দেয়। খেয়া যাত্রীদের এদিক দিয়ে আসতে বাধা প্রদান করে যাত্রীদের প্রতিনিয়ত হুমকি ধামকি দিচ্ছে। তারা যাত্রীদের বিরুদ্ধে এই রোড দিয়ে যাতায়াত করা যাবে না বলে নিষেধ করেন। আমরা এই সন্ত্রাসী ক্যাডার বাহিনী দ্বারা প্রতিনিয়ত হামলার স্বীকার হই। আমরা এ চাঁদাবাজ থেকে মুক্তি চাই। ভোলার সকল প্রশাসনের কাছে এ চাঁদাবাজির উপযুক্ত শাস্তির দাবি করছি।