![]() |
স্থিতিশীল গরু-মুরগির দাম, বেড়েছে সবজির সরবরাহ |
নিজস্ব প্রতিনিধি,ঢাকা:
শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মালিবাগ, মিরপুর, শেওড়াপাড়াসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে ও ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে রাজধানীর বাজারগুলোতে সপ্তাহের ব্যবধানে নতুন আলু, পেঁয়াজ ও শীতকালীন সবজির সরবরাহ বেড়েছে। এছাড়া ব্রয়লার মুরগির দাম স্থিতিশীল রয়েছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, চলতি সপ্তাহে দেশি পুরাতন পেঁয়াজ ১৫০ টাকা, দেশি নতুন পেঁয়াজ ১৩০ টাকা এবং ভারতীয় পেঁয়াজ ১১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহের মতোই ১৯০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লার মুরগি। শুধু ব্রয়লার নয় সোনালি, সোনালি হাইব্রিড ও লেয়ার মুরগিরও বাজার দাম বেড়ে স্থিতিশীল রয়েছে। সোনালি ৩০০ টাকা, সোনালি হাইব্রিড ২৯০ টাকা, দেশি মুরগি ৫০০ থেকে ৫২০ টাকা কেজি, লেয়ার ২৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
পেঁয়াজ বিক্রেতা আব্দুল খালেক বলেন, গত সপ্তাহে দেশি পুরাতন পেঁয়াজ ১২০ টাকা, দেশি নতুন পেঁয়াজ ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। চলতি সপ্তাহে দাম কিছুটা বেড়েছে। এছাড়া নতুন আলু গত সপ্তাহের তুলনায় কেজি প্রতি ১০ টাকা বেড়েছে। শিম, কপি, টমেটোসহ সব ধরনের সবজির দামই কিছুটা বেড়েছে।
তালতলা বাজারের আলু বিক্রেতা তানভীর বলেন, গত সপ্তাহের তুলনায় আলু কেজি প্রতি ১০ টাকা করে বেড়েছে। গত সপ্তাহের নতুন আলু ৬০ টাকা দরে বিক্রি হলেও চলতি সপ্তাহে ৭০ টাকা করে বিক্রি করছি। এছাড়া বগুড়ার গোল আলু কেজি প্রতি ১০০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারগুলোতে প্রতি কেজি মুলা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, শিম ৬০ থেকে ৮০ টাকা, ফুলকপি ৪০ থেকে ৬০ টাকা, বাঁধা কপি ৪০ থেকে ৬০ টাকা, পাকা টমেটো প্রকারভেদে ১০০ থেকে ১২০ টাকা, কাঁচা টমেটো ৬০ টাকা, কচুরমুখী ৭০ টাকা এবং গাজর ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বেগুন ৫০ থেকে ৮০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ১০০ টাকা, পটল ৮০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকায়, ধুন্দুল ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৮০ টাকা, শশা ৫০ থেকে ৭০ টাকা, প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৩০ টাকা, লেবুর হালি ২০ থেকে ৪০ টাকা, ধনে পাতা কেজি ১০০ থেকে ১৫০ টাকা, কলা হালি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়, জালি কুমড়া ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে। আলু বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা, নতুন আলু ৭০ টাকা, নতুন উঠা দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা কেজি দরে, ভারতীয় পেঁয়াজ ১১০ টাকা দরে, পেঁয়াজের ফুলকলি ৭০ টাকা ও কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারগুলোতে লাল শাক ১০ টাকা আঁটি, লাউ শাক ৩০ টাকা, মূলা শাক ১০ টাকা, পালং শাক ১৫ টাকা, কলমি শাক ৮টাকা আঁটি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। এছাড়া বাজারে গরুর মাংস কেজি প্রতি ৫৮০ থেকে ৬৫০ টাকা এবং খাসির মাংস কেজি প্রতি ১০৫০-১১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়, হাঁসের ডিম ২০০ টাকায়, দেশি মুরগির ডিমের হালি ৮০ টাকায়।
গরুর মাংসের দাম কিছুটা কম থাকায় মাছের বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। শুক্রবার ৪০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা, এক কেজি শিং মাছ চাষের (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকায়, প্রতি কেজি রুই মাছ (আকারভেদে) ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকায়, মাগুর মাছ ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা, মৃগেল ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, পাঙ্গাস ২০০ থেকে ২২০ টাকায়, চিংড়ি প্রতি কেজি ৬০০ থেকে ৮০০ টাকায়, বোয়ালমাছ প্রতি কেজি ৪০০ থেকে ৯০০ টাকায়, কাতল ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায়, পোয়া মাছ ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায়, পাবদা মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, তেলাপিয়া ২২০ টাকায়, কৈ মাছ ২২০ থেকে ২৩০ টাকায়, মলা ৫০০ টাকা, বাতাসি টেংরা ৯০০ টাকায়, টেংরা মাছ ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, কাচকি মাছ ৬০০ টাকায়, পাঁচ মিশালি মাছ ২২০ টাকায়, রুপচাঁদা ১০০০ টাকা, বাইম মাছ ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা, দেশি কই ১০০০ টাকা, মেনি মাছ ৭৬০০ টাকা, সোল মাছ ৬০০ থেকে ৮০০টাকা, আড়ই মাছ ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা এবং কাইকলা মাছ ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।