দীর্ঘ আড়াই বছর পর কারামুক্ত হলেন মাওলানা আমির হামজা |
নিজস্ব প্রতিনিধি:
প্রায় আড়াই বছর পর কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন আলোচিত ইসলামি বক্তা মাওলানা আমির হামজা। বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) বেলা পৌনে ১২টায় গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে তিনি মুক্তিলাভ করেন।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা।
তিনি জানান, কারাগারে মাওলানা আমির হামজার জামিনের কাগজপত্র পৌচ্ছানোর পর যাচাই বাছাই শেষে তাকে বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।
২০২১ সালের ২৪ মে বিকেলে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার পাটিকাবাড়ি ইউনিয়নের ডাবিরাভিটা এলাকার গ্রামের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে হামজাকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সিটিটিসির একটি দল। পরের দিন তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
একই বছরের ৩১ মে পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় তিনি সংসদ ভবনে তলোয়ার নিয়ে হামলার পরিকল্পনার মামলায় স্বেচ্ছায় দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম মোরশেদ আল মামুন ভূঁইয়া তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
পুলিশের দাবি, আমির হামজা ওয়াজ মাহফিলের নামে ইসলামের বিভিন্ন বিষয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়েছেন। ইউটিউবে ছড়ানো তার বেশকিছু বক্তব্য উগ্রবাদে উসকানিমূলক, যা শুনে কিশোর-তরুণরা জঙ্গিবাদে আকৃষ্ট হচ্ছে। নাশকতার মামলায় হেফাজতের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার অভিযান শুরু হলে আত্মগোপনে চলে যান আমির হামজা।
সিটিটিসি সূত্রে জানা গেছে, তলোয়ার নিয়ে সংসদ ভবনে হামলা চালানোর চেষ্টায় ২০২১ সালের ৫ মে সাকিব নামে একজনকে আটক করা হয়। সাকিবকে আটকের পর শেরেবাংলা নগর থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা করা হয়। ওই মামলায় সাকিব ছাড়াও আলী হাসান ও মাহমুদুল হাসান গুনবী নামে দুজনকে আসামি করা হয়।
সাকিবের কাছ থেকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, সাকিব কথিত বক্তা আলী হাসান উসামা, মাহমুদুল হাসান গুনবী, আমির হামজা, হারুন ইজহার প্রমুখের উগ্রবাদী-জিহাদি হামলার বার্তাসংবলিত ভিডিও দেখেন এবং উগ্রবাদে আসক্ত হন।