মাটির গর্তে থেকে ৩০ কোটি টাকা মূল্যের হেরাইন উদ্ধার |
ওবায়দুল ইসলাম রবি, রাজশাহী:
মরন নেশা হেরোইন ক্রয়-বিক্রয় না কমলেও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী বিভিন্ন প্রকার মাদক উদ্ধারে বেশ ততপর। প্রতিনিয়িত মাদকসহ বিভিন্ন প্রকার অপরাধ নিমূর্লে কাজ করছে র্যাপিড এ্যাকশান ব্যাটালিয়ন র্যাব-৫। এবছর সর্বচ্চ পরিমান হেরাইন (১০ কেজি যা বাজার মূল্য প্রায় ৩০ কোটি টাকা) উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে র্যাব-৫
র্যাব-৫ এর সিপিসি-১ এশটি দল বৃহস্পতিবার সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার চর বাগডাঙ্গা ইউনিয়ে অভিযানে পরিচালনা করে ১০ কেজি হেরোইন উদ্ধা করেছে। অভিযুক্তরা মাটির গর্তে প্লাষ্টিকের ড্রামে মাদক লুকিয়ে রেখেছিল। পরে র্যাব-৫ চাপাইনবাবগঞ্জের সদর থানধীন জাইরা মোরল নামক গ্রামের মৃতঃ নসিমুদ্দিন এর ছেলে মাদক স¤্রাট শরিফুল ইসলাম ওরফে ধুলু মিয়া (৫০), এবং মোমিনুল ইসলাম একই গ্রামের শরিফুল ইসলাম ওরফে ধুলু মিয়াকে হেরোইনসহ গ্রেফতার করেছে।
এবিষয়ে র্যাব-৫ সংবাদ সমম্মেলনের মাধ্যমে জানায়, দীর্ঘদিন যাবৎ র্যাবের নিকট গোয়েন্দা তথ্য ছিল যে একটি চক্র মাদকের বড় চালান পাচার হওয়ার পরিকল্পনা চলচিল। র্যাব সদর দপ্তর ইন্টেলিজেন্স উইং এর প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় র্যাব-৫, সিপিসি-১ চাঁপাইনবাবগঞ্জ গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৫, গোয়েন্দা দল জানতে পারে ১৪ ডিেিসম্বর বৃহস্পতিবার হেরোইন এর একটি বড় চালান পাচার করবে মোঃ রুস্তম আলী নামের একজন ব্যক্তি।
এর পর থেকেই রুস্তম আলীকে র্যাবের গোয়েন্দা নজরদারীতে রাখা হয়। তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে তার গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে জানা যায় তিনি গত রাতে পদ্মা নদীর সীমন্তবর্তী এলাকায় অবস্থান করছিল এবং গত রাতে কোন এক সময়ে সীমান্তের ওপার হতে বিপুল পরিমাণ হেরোইন পাচার করে শরিফুল ইসলাম ওরফে ধুলু মিয়া নামে মাদকের মুল হোতার বাসায় হেরোইন এর চালান নিয়ে আসে। তবে শরিফুল ইসলাম ওরফে ধুলু মিয়া বুঝতে পেরে বাসা থেকে পালিয়ে যায়। আভিযানিক দল ধুলু মিয়ার বাসায় তার ছেলে মমিনুল ইসলাম কে হেরোইন এর চালান সর্ম্পকে জিজ্ঞাসা করলে সে স্বীকার করে এবং বাড়ীর পিছনে বাঁশ বাগানের মাটির গর্ত থেকে হেরোইন উদ্ধার করে। অভিযানে এক পর্যায়ে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ধুলু মিয়াকে বাড়ী থেকে ০২ কিলোমিটার দূরে নদীর পাড় হতে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৫।
র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে ধুলু মিয়া সংঘবদ্ধ মাদক চক্রের সাথে জড়িত থাকার কথা শিকার করেছে। এই চক্রটির সদস্যরা বিভিন্ন পেশার ছদ্মবেশের আড়ালে সীমান্তের ওপার হতে বিপুর পরিমাণ হেরোইন চোরাচালান করে থাকে। মাদকের বিরুদ্ধে র্যাবের এই রকম অভিযান ভবিষ্যতেও চলমান থাকবে। আসামীর বিরুদ্ধে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে র্যাব-৫।