পিরোজপুরে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হত্যার মামলায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ গ্রেপ্তার-৮ - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

শিরোনাম

বুধবার, জানুয়ারী ৩১, ২০২৪

পিরোজপুরে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হত্যার মামলায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ গ্রেপ্তার-৮

পিরোজপুরে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হত্যার মামলায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ গ্রেপ্তার-৮
পিরোজপুরে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হত্যার মামলায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ গ্রেপ্তার-৮


পিরোজপুর প্রতিনিধি:

পিরোজপুরের নেছারবাদ উপজেলার আটঘর কুরিয়ানার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শেখর কুমার সিকদার হত্যা মামলার প্রধান আসামী আটঘর কুরিয়ানা ইউনিয়নের বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান মিঠুন হালদার ও তার সহযোগীদেরসহ ৮ জনকে গ্রেপ্তার  করেছে র‌্যাব-৮। 


আজ বুধবার দুপুরে পিরোজপুর পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শরীফুল ইসলাম এক প্রেস ব্রিফিং জানান, এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহতের স্ত্রী মালা রানী মন্ডল বাদী হয়ে ১৫ জনকে আসামী করে নেছারাবাদ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ ঘটনার পরপরই অভিযান জালিয়ে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো শংকর সরকার, বাবুল হাওলাদার, তাপস মজুমদার ও স্বাধীন হালদার। 


এছাড়া দুপুরে র‌্যাব- ৮ এর উপ-পরিচালক মো: রবিউল ইসলাম এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানান, র‌্যাব অভিযান চালিয়ে এ হত্যা মামলার প্রধান আসামী ইউপি চেয়ারম্যান  মিঠুন হালদার সহ তার সহযোগী সুষময় হালদার, জালিস মাহমুদ ও  মোঃ আমিনুল ইসলাম  কে বাগেরহাটের মোল্লার হাট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। 


জানাযায়, পূর্ব বিরোধ ও আধিপত্য বিস্তার কেন্দ্র করে এবং স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার দাওয়াত কার্ডে ইউপি চেয়ারম্যান মিঠুন হালদারের নাম না থাকা নিয়ে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শেখর কুমার সিকদার সাথে বিরোধের সৃষ্টি হয়। এতে মঙ্গলবার সকালে ইউপি চেয়ারম্যান মিঠুন হালদার লোকজন নিয়ে কুরিয়ানা বাজারে শেখর কুমার সিকদারের  দোকানের কাছে এসে তার উপর হামলা চালায়। হামলায় গুরুত্বর আহত শেখর কুমার সিকদারকে উদ্ধার করে নেছারাবাদ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।


পিরোজপুরের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শরীফুল ইসলাম জানান, এ হত্যা কান্ডের ঘটনায় মামলার পালতক  অন্যান্য আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে পুলিশ। এছাড়া এ ঘটনায় এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ মোতায়েন আছে। আর এ ঘটনায় যদি পুলিশের কোন গাফেলতি থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।