বঙ্গবন্ধুর নামে ফরিদপুরে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হবে - মৎস্য ও প্রানীসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

শনিবার, জানুয়ারী ২৭, ২০২৪

বঙ্গবন্ধুর নামে ফরিদপুরে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হবে - মৎস্য ও প্রানীসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান

 

বঙ্গবন্ধুর নামে ফরিদপুরে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হবে - মৎস্য ও প্রানীসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান
বঙ্গবন্ধুর নামে ফরিদপুরে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হবে - মৎস্য ও প্রানীসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান

আব্দুল্লাহ আল মামুন রনী,বোয়ালমারী(ফরিদপুর) প্রতিনিধি : 

মৎস্য ও প্রাণিসসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান বিএনপিকে আগামী যেকোন নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, সবইতো হলো, এবার দয়া করে আগামী যেকোন নির্বাচনে অংশ নিন। তিনি বলেন, বিএনপি বলেছিলো তাদের ছাড়া এদেশে কোন নির্বাচন হবেনা।


 কিন্তু সবাই দেখলো নির্বাচন হলো। এরপর বলেছিলো নির্বাচন হলেও বিদেশিরা স্বীকৃতি দিবেনা। বিদেশিরাও স্বীকৃতি দিলো। সবইতো হলো, এবার দয়া করে আগামী যেকোন নির্বাচনে অংশ নেন। রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে কোন অবস্থাতেই সামাজিক অপরাধ করবেন না। শান্তিশৃঙ্খলা ভঙ্গ করবেন না।


গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় ফরিদপুরের মধুখালি উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে স্থানীয় পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত এক নাগরিক সংবর্ধনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আব্দুর রহমান আরো বলেন, অনেক ষড়যন্ত্র আছে। নির্বাচনের আগেও ষড়যন্ত্র হয়েছে। নির্বাচনের পরেও ষড়যন্ত্র আছে। তবে যতো ষড়যন্ত্র হয়েছে এ পর্যন্ত সব ষড়যন্ত্রেই শেখ হাসিনার বিজয় হয়েছে। কারণ আল্লাহ রাব্বুল আলামীন শেখ হাসিনার সঙ্গে আছেন।


তিনি বলেন, বাংলাদেশ আজ এক অনন্য উচ্চতায় পৌছে গেছে। সারাবিশ্ব আজ এই দেশের দিকে তাকিয়ে থাকে। দেশ স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। এই দেশই হবে সৌদি আরব, এই দেশই হবে সিঙ্গাপুর।


এসময় আব্দুর রহমান ফরিদপুরে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আশ্বাস দিয়ে বলেন, বঙ্গবন্ধুর নামেই ফরিদপুরে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হবে।


তিনি বলেন, মঞ্চে এসে আমাকে ফুল দিয়ে সংবর্ধনা দিতে হবেনা। আমিই উল্টো আপনাদের বাড়ি ঘুরে ঘুরে সবার সাথে সাক্ষাৎ করে ফুল নিয়ে আসবো। মন্ত্রী যাবে আপনাদের চুলোর পিঠে। মন্ত্রী যাবে স্কুল, কলেজে, হাটে-বাজারে সব জায়গায়। মন্ত্রী যাবে সাধারণ মানুষের কাছে।  

 

তিনি মন্ত্রীত্ব পাওয়ার অভিব্যক্তি তুলে ধরে বলেন, ভেবেছিলাম হয়তো এমন এক জায়গায় আমাকে দিবে যেখানে থেকে আরো কিছু কাজ করার সময় পাবো। এখন দেখলাম এমন জায়গায় এসেছি, এই জায়গায় তিতপুটি, ট্যাংরা নানা ধরনের কাজ।


তিনি বলেন, আমার জীবনে আর কিছু পাওয়ার পাওয়ার নেই। এই মধুখালিতে এর আগে কেউ মন্ত্রী হতে পারেননি। আল্লাহ যাকে ইজ্জত সম্মান দেয় কেউ কেড়ে নিতে পারেনা। আর যার ইজ্জত কেড়ে নেন কেউ তা ফিরিয়ে দিতে পারেনা।


তিনি গত নির্বাচনে তার বিরোধিতাকারীদের সমালোচনা করে বলেন, কিছু কিছু মানুষের উপর আমার দুঃখবোধ-কষ্টবোধ আছে, আমি ওদের কি ক্ষতি করলাম? তবু কিছু কথা থেকে যায়! আল্লাহ যেনো আমাকে ওদের ক্ষমা করে দেওয়ার তৌফিক দেন। তিনি বলেন, ন্যায়ের সংগ্রাম প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজনে জীবন দিবো। তবু অন্যায়কে কোনভাবেই প্রশ্রয় দেবোনা। এই মাটিকে কলুষযুক্ত করে যাওয়ার চেষ্টা করে যাবো। আপনারা ঐক্যবদ্ধ থাকবেন।

 

নাগরিক সংবর্ধনায় মধুখালি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রতন কুমার বিশ্বাসের সভাপতিত্বে ও উপজেলা সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম বকুর সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীর সহধর্মিণী ও বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ডা. মির্জা নাহিদা হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শ্যামল ব্যানার্জী, আসাদুজ্জামান মিন্টু, উপজেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক মনোজ কুমার সাহা, পান্না গ্রæপের চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন খান প্রমুখ। এ সময় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনসহ প্রায় ২০-৩০ হাজার বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।



Post Top Ad

Responsive Ads Here