সালথায় সরকারি হালট দখল করে দোকানঘর নির্মাণ - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

শিরোনাম

সোমবার, ফেব্রুয়ারী ০৫, ২০২৪

সালথায় সরকারি হালট দখল করে দোকানঘর নির্মাণ

সালথায় সরকারি হালট দখল করে দোকানঘর নির্মাণ
সালথায় সরকারি হালট দখল করে দোকানঘর নির্মাণ


ফরিদপুর প্রতিনিধি:

ফরিদপুরের সালথা উপজেলা ভূমি অফিসের সামনে সরকারি হালটের জমি দখল করে অবৈধভাবে পাকা ইমারত নির্মাণ করা হচ্ছে। ক্ষমতাসীন দলের নাম ভাঙিয়ে সেখানে দোকান ঘর তুলছেন। আর এজন্য পাশ্ববর্তী একজন আমেরিকা প্রবাসীর জমিও দখল করে নেয়া হয়েছে ওই হালটের সাথে। স্থানীয়রা এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ারও জোর দাবি করেছেন।


সরেজমিনে দেখা গেছে, সালথা উপজেলার ৩৩ নং দরজা পুরুরা মৌজায় উপজেলা সদরের উপজেলা ভূমি অফিসের সামনে সালথা-সোনাপুর আঞ্চলিক সড়কের সাথে হালট জুড়ে নির্মাণ করা হচ্ছে পাকা ইমারত। রড-সিমেন্ট দিয়ে পাঁকা পিলার স্থাপনের কাজ চলছে। ৪ থেকে ৫টি দোকান ঘর তৈরি করা হবে সেখানে।

 

এই হালটের পেছনে রয়েছে আমেরিকা প্রবাসী হাসিবুল হাসান নামে এক ব্যক্তির ৫ শতাংশ জমি। ওই জমি থেকে চলাচলের জন্য তিনি হালটের সামনে আধা শতাংশ জমি কিনেন। ওই জমি দখল করেও এসব দোকান ঘর তৈরি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। 


তবে ক্ষমতাসীন দলের হওয়ায় স্থানীয়রা প্রতিবাদ করার সাহস পায়না। নাম প্রকাশে অনচ্ছিুক স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, সালথা উপজেলা সদর বাজারে প্রবেশের প্রধান সড়কটির ওই অংশে ২০২০ সালের দিকে তৎকালীন ইউএনও ওই জায়গা মাপজোঁক করেন,আরো জানা যায়,গতো দুই  মাস আগে ও বর্তমান এ্যাসিল্যানড অফিসের সার্ভেয়ার খলিলুর রহমান, সালথা থানার সেকেন্ড অফিসার সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তি বর্গের উপস্হিততে পরিমাপ করা হয়,তাতে দেখা গেছে, রাস্তার পাশেই হালটটি রয়েছে। 


তারা বলেন, পিকুল মোল্যা কারো তোয়াক্কা না করেই সরকারি হালটে দোকান ঘর নির্মাণ করছেন। অনেক আগে থেকেই ওই জায়গা দখলের চেষ্টা করে যাচ্ছেন তিনি। এর আগেও ঘর তোলার চেষ্টা করলে তৎকালীন ইউএনও মোহাম্মদ হাসিব সরকার বাধা দেন।

 

আমেরিকা প্রবাসী হাসিবুল হাসান বলেন, পিকুল মোল্যা প্রভাব খাটিয়ে আমার ক্রয়কৃত আধা শতাংশ জমিসহ সরকারি হালট দখল করে দোকান ঘর নির্মাণ করছেন। এতে আমার রাস্তায় উঠা,চলাচল পুরোপুরি বন্ধ ,জায়গাটি কার্যত অকার্যকর হয়ে পড়েছে। স্থানীয় প্রশাসনকে বিষয়টি জানালেও প্রতিকার মিলছে না।


বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে স্থাপনা নির্মাণকারী পিকুল মোল্যা বলেন, এখানে এক শতাংশের একটু বেশি জায়গা আমার ক্রয় করা।সেই জায়গায় আমি ঘর তুলছি। আমিতো বিল্ডিং তুলছি না, আপাতত উপরে টিনের ছাপড়া দিয়েছি। তবে ইমারত হোসেন পিকুল মোল্যা কোন দলিল বা অন্য কোন কাগজ পত্র দেখাতে পারেনি। এসিল্যান্ড আসছিলেন,উনি বলছে পরবর্তীতে হালট বের করা হবে।


এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আনিছুর রহমান বালী বলেন, সরকারি হালট দখল করে ঘর নির্মাণের বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে, খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।