সালথায় প্রতিপক্ষের বাড়িতে গভীররাতে হামলা, ঘর বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট
সালথা( ফরিদপুর)প্রতিনিধি:
ফরিদপুরের সালথায় প্রতিপক্ষের বসতবাড়িতে গভীররাতে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। গত শুক্রবার (১৬ ফ্রেরুয়ারী) রাত ২ টার সময় উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের রংরায়েরকান্দী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।স্থানীয়রা বলছেন এটা নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা।
স্থনীয়রা আরো জানান, সোনাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি খায়রুজ্জামান বাবু মোল্লা ও একই ইউনিয়নের যুবলীগ নেতা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী ফরহাদ মোল্লা দুজনে গ্রাম্য দুটি দলের নেতৃত্ব দিয়ে থাকেন। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরহাদ মোল্লা ও সমর্থক রংরায়েরকান্দী গ্রামের নান্নু সর্দার গংরা নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারনা করে। এবং খায়রুজ্জামান বাবু মোল্লার সমর্থক একই গ্রামের বাসিন্দা ইবাদত মাতুব্বর গংরা ঈগল প্রতিকের স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারনা করে। নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জয়লাভ করাতে বিভিন্ন সময় তাদের প্রতি ভয়ভীতি হুমকি প্রদর্শন করে আসছিলো প্রতিপক্ষের লোকজন।
ইবাদত মাতুব্বর এর ভাইয়ের স্ত্রী রুশনাই বেগম অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে তাদের দলে মিশার জন্য চাপ সৃষ্টি করে আসছিলো ফরহাদ মোল্লা ও তার দলের লোকজন। তাতে রাজি না হওয়ায় ঘটনার দিন রাত ২ টার সময় হঠাৎ আমার দেবর ইবাদত মাতুব্বর বাড়ির আঙ্গিনায় চিৎকার চেচামেচি শুনে এগিয়ে যাই, গিয়ে দেখি ওদের বাড়িঘর সব লুটপাট হয়ে গেছে সব ঘরের বেড়া কুপিয়ে ফানাফিল্লা করে ফেলেছে। পরবর্তীতে আমাদের বাড়িতে এসে ঘরে হামলা করে সব মালামাল ভাংচুর ও লুটপাট করে নিয়ে যায়। তিনটি গরু, তিনটি ছাগল সহ আমাদের চারটি বাড়ির প্রায় ১০ লক্ষ টাকার ক্ষতি করেছে।
অভিযোগ অস্বীকার করে ফরহাদ মোল্লা বলেন, এটা তাদের এলাকা ভিত্তিক ঝামেলা গ্রাম্য দলপক্ষে কোন বিষয় না। তারপরও আমরা স্থানীয়রা বসে এটা মিটমাট করার চেষ্টা করছি।
সোনাপুর ইউপি চেয়ারম্যান খায়রুজ্জামান বাবু মোল্লা বলেন, আমি ও আমার দলের লোকজন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার কারনে এই হামলা চালিয়েছে তারা। ঘটনাটি খুবই দু:খজনক যাদের উপর হামলা করা হয়েছে তারা অত্যান্ত গরীব মাঠে খেটে খাওয়া নিরিহ মানুষ। তারা ভয়ে মুখ খলছে না।
সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ ফায়েজুর রহমান বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।